আলোচনার শুরুতেই মারনে বলেন, "জিও-র হাত ধরে দেশের কোটি কোটি মানুষের কাছে ইন্টারনেট পৌঁছে গিয়েছে। বাণিজ্যের ক্ষেত্রেও যা সাহায্য করেছে। সেই কারণেই আমাদের সংস্থা আপনাদের সঙ্গে বাণিজ্যিক ভাবে যুক্ত হতে এতটা আগ্রহী। কারণ আমরা চাই সাধারণ মানুষের হাতে ক্ষমতা পৌঁছে দিতে।" তিনি আকাশ ও ইশাকে প্রশ্ন করেন, খুচরো বাণিজ্যের ক্ষেত্রে তাঁরা কী ভাবে দেখছেন এই পার্টনারশিপের বিষয়টি। ইশা বলেন, "ভারতীয় অর্থনীতির মেরুদণ্ড ছোট ব্যবসাগুলি। অতিমারি আমাদের বুঝিয়েছে, কেন এই ছোট বাণিজ্যক্ষেত্রগুলিকে আরও বেশি করে ডিজিটাল মাধ্যমে নিজেদের নিয়ে আসতে হবে।" জিও রিটেল বাণিজ্যের ক্ষেত্রে আকাশ বলেন, "আমরা আপাতত দেশে ৫ লক্ষের বেশি খুচরো ব্যবসায়ীর সঙ্গে কাজ করছি, প্রতিদিনই তা বাড়ছে। আমাদের লক্ষ্য জিও মার্টের সর্বোচ্চ বৃদ্ধি, অনলাইন ও অফলাইন স্তরে।" পাশাপাশি মেটার সঙ্গে পার্টানারশিপের বিষয়ে তাঁর মত, "আমরা মেটার সঙ্গে কাজের বিষয়ে ভীষণ উৎসাহিত। আমরা জানি, মেটার সঙ্গে আমাদের একসঙ্গে কর্মক্ষেত্র বৃদ্ধি আসলে এক দিকে যেমন ক্রেতাদের সাহায্য করবে, তেমনই বিক্রেতাদের বিপুল সুবিধা পৌঁছে দেবে।"
advertisement
আরও পড়ুন: আসতে পারে নানা কারণে, এক নজরে দেখে নিন বিভিন্ন ধরনের ট্যাক্স নোটিসে রিপ্লাই দেওয়ার উপায়!
আকাশ জানালেন, ক্রেতার থেকে সামান্য একটি মেসেজের দূরত্বে থাকবেন বিক্রেতা। সাধারণ মেসেজ করা ও কয়েকটি পদ্ধতি অবলম্বন করেই ক্রয় বিক্রয় চলবে। হোয়্যাটসঅ্যাপ ব্যবহার করা খুবই সহজ। ফলে খুব সহজ পদ্ধতিতেই এই কাজ সম্পন্ন করতে পারবেন সাধারণ মানুষ। ইশা বলেন, "ক্রেতাদের শুধু অর্ডার দেওয়ার অপেক্ষা, বাকিটা হবে সহজেই। জিনিস দেখে তাঁরা সাপ্তাহিক বাজার সারতে পারবেন, অথবা ক্রেতার কেনা সামগ্রীর ইতিহাস দেখে তাঁকে দেখিয়ে দেওয়া হবে তিনি কোন ধরনের জিনিস কিনতে চাইছেন। খুবই সহজ হবে পদ্ধতি।"
আরও পড়ুন: ১০ লক্ষ টাকার বেশি বেতনেও দিতে হবে না ট্যাক্স, জানুন বিস্তারিত!
এর পর জিও-এর হোয়াটসঅ্যাপ মোবাইল রিচার্জের বিষয়েও জানতে চান মারনে। আকাশ বলেন, প্রিপেড রিচার্জের ক্ষেত্রে জিও অন হোয়াটসঅ্যাপ খুলে দেবে এক নতুন দিগন্ত। এ ক্ষেত্রে রিচার্জ হবে অত্যন্ত সহজ। ব্যবহারকারীরা নানারকম সুযোগ সুবিধা পাবেন। সহজে তাঁরা রিচার্জও করতে পারবেন।