তেল মন্ত্রকের পেট্রোলিয়াম প্ল্যানিং অ্যান্ড অ্যানালাইসিস সেলের নির্দেশ অনুসারে, ওএনজিসি এবং অয়েল ইন্ডিয়ার পুরনো ক্ষেত্রগুলি থেকে গ্যাসের দাম প্রতি এমএমবিটিইউ ৬.১ ডলার থেকে বাড়িয়ে ৮.৫৭ ডলার করা হয়েছিল। এই হারে দেশে উৎপাদিত গ্যাসের প্রায় দুই তৃতীয়াংশ বিক্রি হয়। নয়া নির্দেশ অনুযায়ী রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটিড এবং এর অংশীদার বিপি পিএলসি পরিচালিত ডি৬ ব্লক থেকে উত্তোলিত গ্যাসের দাম প্রতি ইউনিট ৯.৯২ ডলার থেকে বাড়িয়ে ১২.৬ ডলার করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সাল থেকে এই নিয়ে তৃতীয় বার প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম বাড়ল।
advertisement
আরও পড়ুন: ফের বাড়ল দাম! দেখে নিন আপনার শহরে পেট্রোল ও ডিজেলের লেটেস্ট দাম
সার তৈরির পাশাপাশি বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রাথমিক কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত হয় প্রাকৃতিক গ্যাস। এটি সিএনজিতে রূপান্তরিত হয় এবং পিএনজি অর্থাৎ এলপিজি হিসাবেও ব্যবহৃত হয়। দর বৃদ্ধির ফলে সিএনজি এবং পিএনজির দাম বাড়বে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। যা ইতিমধ্যেই গত এক বছরে ৭০ শতাংশ বেড়েছে।
সরকার ১ এপ্রিল এবং ১ অক্টোবর গ্যাসের দাম নির্ধারণ করে:
সরকার প্রতি ৬ মাস অন্তর অর্থাৎ ১ এপ্রিল এবং ১ অক্টোবর গ্যাসের দাম নির্ধারণ করে। এক বছরের ত্রৈমাসিক ব্যবধানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা এবং রাশিয়ার মতো দেশগুলিতে বিদ্যমান হারের উপর ভিত্তি করেই এই দাম ঠিক হয়। ২০২১ সালের জুলাই মাস থেকে ২০২২ সালের জুন মাস পর্যন্ত গড় মূল্যের উপর ভিত্তি করে ঠিক করা হয়েছে ১ অক্টোবর থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত লাগু হওয়া মূল্য। এই সময়ের মধ্যে বিশ্বব্যাপী গ্যাসের দামের হার দ্রুত হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।
আরও পড়ুন: আগামী কিস্তির টাকা নিয়ে বড় আপডেট! আজ অ্যাকাউন্টে আসতে পারে টাকা ? জেনে নিন
বাড়তে পারে মুদ্রাস্ফীতি:
প্রাকৃতিক গ্যাসের মূল্য বাড়লে পাল্লা দিয়ে বাড়তে পারে মুদ্রাস্ফীতিও। ইতিমধ্যেই নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের আকাশছোঁয়া দাম নিয়ন্ত্রণে সচেষ্ট রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। বাড়ানো হয়েছে রেপো রেটও। সরকার মূল্য নির্ধারণের সূত্র পর্যালোচনা করতে একটি কমিটিও গঠন করেছে।
বিদ্যুৎ বিল থেকে কৃষিতে প্রভাব:
প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম বৃদ্ধির ফলে দিল্লি ও মুম্বইয়ের মতো শহরে সিএনজি এবং এলপিজির দাম বাড়তে পারে। এতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের খরচও বাড়বে। কিন্তু গ্যাস থেকে উৎপাদিত বিদ্যুতের অংশ খুবই কম হওয়ায় গ্রাহকদের বড় ধরনের কোনও সমস্যা হবে না। একই ভাবে সার উৎপাদন খরচও বাড়বে, তবে সরকার সারে ভর্তুকি দেওয়ায় দাম বাড়ার সম্ভাবনা নেই।