২০২২-এর প্রথম তিন মাসে ভারত-চিন দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ১৫.৩ শতাংশ বেড়ে ৩২ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। বুধবার এই তথ্য প্রকাশ করেছে চিনের কাস্টমস বিভাগ। পূর্ব লাদাখ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দুই দেশের মধ্যে অচলাবস্থা চলছে। তা স্বত্বেও দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের এই পরিসংখ্যান দেখে অবাক অনেকেই।
আরও পড়ুন: পেট্রোল-ডিজেলের নয়া রেট জারি, দেখে নিন আপনার শহরে কত হল....
advertisement
জানুয়ারি থেকে মার্চ, ২০২২-এর প্রথম ৩ মাসে চিনে প্রায় ২৭.১ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রফতানি করেছে ভারত। তবে গত বছর অর্থাৎ ২০২১ সালে রেকর্ড ১২৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বৃদ্ধি পেয়েছে দুই দেশের বাণিজ্য। যা ২০২০ থেকে ৪৩.৩ শতাংশ বেশি। এই তথ্য প্রকাশ করেছে চিনের গ্লোবাল টাইমস। কাস্টমসের সাধারণ প্রশাসনের তথ্য উদ্ধৃত করে এই রিপোর্ট করা হয়েছে।
জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ভারতে চিনের রফতানি ৪৬.২ শতাংশ বেড়ে ৯৭.৫২ বিলিয়ন ডলার হয়েছে। যেখানে চিনে ভারতের রফতানি ৩৪.২শতাংশ বেড়ে ২৮.১৪ বিলিয়ন ডলার হয়েছে। রিপোর্ট বলছে, ২০২১ সালে ভারতের বাণিজ্য ঘাটতি বেড়ে ৬৯.৩৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হয়েছে। সাউথ ব্লকে কান পাতলে শোনা যায়, দীর্ঘ এক দশকেরও বেশি সময় ধরে চিনের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান বাণিজ্য ঘাটতির বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে চলেছে নয়াদিল্লি।
আরও পড়ুন: ফের দাম বাড়ল সোনা ও রুপোর, চেক করে নিন আজ গোল্ডের লেটেস্ট রেট
কয়েকদিন আগে একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রকের মতে ২০২১ সালে চিন থেকে ল্যাপটপ, কম্পিউটার, অক্সিজেন কনসেনট্রেটর এবং অ্যাসিটিক অ্যাসিড আমদানি রেকর্ড পরিমাণ বেড়েছে। যেখানে ভারত প্রধানত চাল, শাকসবজি, সয়াবিন, ফলমূল, তুলা এবং সামুদ্রিক খাবার চিনের কাছে বিক্রি করে।
চিনা কমিউনিস্ট পার্টির মুখপত্র হিসেবে পরিচিত ইংরেজি দৈনিক গ্লোবাল টাইমস লিখেছে, ভারতের ওষুধ শিল্পে ব্যবহৃত রাসায়নিক এবং অন্যান্য উপকরণগুলির ৫০ থেকে ৬০ শতাংশই চিন থেকে আসে। পর্যবেক্ষকরা বলছেন, এই বছর ভারতে চিনের রফতানি বৃদ্ধির মূল কারণ কোভিড ভাইরাস। ভারতের ক্রমবর্ধমান ওষুধ শিল্পের জন্য মেডিক্যাল প্রোডাক্ট ও কাঁচামাল পাঠিয়েছে চিন। দেশে কোভিডের সেকেন্ড ওয়েভে চিন থেকে অনেক বেশি পণ্য আমদানি করতে হয়েছে ভারতকে। তারই ফলস্বরূপ এই বাণিজ্য বৃদ্ধি। জিএসি-র মতে ২০২১ সালে চিনের ১৫তম বৃহৎ বাণিজ্য অংশীদার হয়েছে ভারত।