সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের মেরঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে মুদ্রা মহোৎসব। সেখানেই চোখে পড়ল এক অদ্ভুত দৃশ্যের। আসলে যাঁরা পুরনো মুদ্রা জমান, এমন বিপুল সংখ্যক মানুষ ওই মহোৎসবে ভিড় জমিয়েছিলেন। এখানে কেবল পুরনো মুদ্রা বিক্রিই হচ্ছিল না, কিছু মুদ্রার মূল্য তো হাজার হাজার টাকায় পৌঁছে গিয়েছিল।
আরও পড়ুন: হুড়মুড়িয়ে দাম কমছে সোনার ! দেখে নিন ১ গ্রামের দাম কত হল
advertisement
এই বিরল ২৫ পয়সার মুদ্রার মূল্য উঠেছিল ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত
লখনউ থেকে এই মহোৎসবে যোগ দিয়েছিলেন মুদ্রা সংগ্রাহক সাহিল। তিনি বলেন যে, যদি কারও কাছে হায়দ্রাবাদ টাকশালের ২৫ পয়সার মুদ্রা থাকে এবং এটি বাজারে না ছড়িয়ে পড়ে থাকে, তাহলে সেই মুদ্রার বাজারদর হতে পারে ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা। সাহিল বলেন, বিরল সংগ্রহের মুদ্রার চাহিদা সবসময় বেশি থাকে। কারণ এগুলি সীমিত পরিমাণে পাওয়া যায়। এই কারণেই যাঁরা পুরাতন মুদ্রা জমিয়ে রেখেছেন, তাঁরা আজ প্রচুর পরিমাণে আয় করতে পারেন। সাহিল আরও বলেন, তাঁর সংগ্রহে বিভিন্ন দেশের এবং ভিন্ন ভিন্ন সময়ের অনেক বিরল মুদ্রা রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হল ২৫ পয়সা এবং ১৮ পয়সা।
আরও পড়ুন: আধার নিয়ে বড় আপডেট ! শীঘ্রই অনলাইনে বদল করা যাবে নাম, ঠিকানা ও ফোন নম্বর ?
শত শত বছরের পুরনো মুদ্রার এক অনন্য ভাণ্ডার
এই উৎসবে উপস্থিত ছিলেন ব্যবসায়ী অশ্বিনী কুমারও। তাঁর সংগ্রহে এমন এক অনন্য মুদ্রার ভান্ডার রয়েছে, যা দেখে সকলেরই তাক লাগিয়ে গিয়েছে। অশ্বিনী কুমারের সংগ্রহে দিল্লি সুলতানি যুগ, মুঘল আমল, হরপ্পা-সিন্ধু সভ্যতা যুগ, এমনকী ব্রিটিশ শাসন কালের মুদ্রাও রয়েছে। অশ্বিনী বলেন যে, ইতিহাসে একসময়ের প্রচলিত মুদ্রাগুলি এখনকার ইতিহাসের অমূল্য প্রতীক হয়ে উঠেছে। আর এই সব মুদ্রা সংগ্রহের শখের কারণে, অশ্বিনী লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয় করেছেন। তিনি বলেন যে, এই ধরনের মুদ্রা যখন নিলামে ওঠে, তখন এর দাম শুনে মানুষ অবাক হয়ে যান। কিন্তু যাঁরা প্রকৃত সংগ্রাহক, তাঁরা এর জন্য ভাল পরিমাণ অর্থ দিতে প্রস্তুত থাকেন।
মেরঠে অনুষ্ঠিত মুদ্রা মহোৎসবের ভিড়:
এই মহোৎসবে প্রচুর মানুষের সমাগম ঘটেছিল। আর এর মধ্যে বাচ্চা থেকে বৃদ্ধ সকলেই ছিলেন। পুরাতন মুদ্রা দেখার, কেনার এবং নিলামে অংশগ্রহণ করার জন্য সকলেই উৎসাহী ছিলেন। এখানে প্রাচীন মুদ্রা কেনা-বেচার এই সুযোগটি কেবল মানুষের জন্য ঐতিহাসিক ভাবে গুরুত্বপূর্ণ নয়, বরং এই শখ মানুষের জন্য ভাল আয়ের উৎসও হয়ে উঠতে পারে।