এই স্কিমের উদ্দেশ্য:
স্ট্যান্ড আপ ইন্ডিয়া স্কিমের উদ্দেশ্য হল - গ্রিনফিল্ড এন্টারপ্রাইজ স্থাপনের জন্য প্রতিটি ব্যাঙ্কের শাখা থেকে অন্তত এক জন তফসিলি জাতি, তফসিলি উপজাতি কিংবা মহিলা উদ্যোগপতিকে ১০ লক্ষ টাকা থেকে ১ কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণ সুবিধা দেওয়া। এই এন্টারপ্রাইজ উৎপাদন, পরিষেবা, ব্যবসায়িক খাতে হতে পারে। অব্যক্তিগত উদ্যোগের ক্ষেত্রে ৫১ শতাংশ শেয়ার হোল্ডিং এবং নিয়ন্ত্রণকারী অংশীদারিত্ব এসসি, এসটি এবং মহিলা উদ্যোক্তার হাতে থাকতে হবে।
advertisement
আরও পড়ুন: চলতি সপ্তাহে পর পর ছুটি, ব্যাঙ্কে যাওয়ার আগে একবার দেখে নিন ছুটির লিস্ট
যোগ্যতা:
তফসিলি জাতি বা এসসি, তফসিলি উপজাতি বা এসটি এবং মহিলা উদ্যোক্তার বয়স হতে হবে ১৮ বছর বা তার বেশি।
এই স্কিমে যে কোনও নতুন গ্রিনফিল্ড প্রোজেক্টের জন্য লোন দেওয়া হবে। উৎপাদন, পরিষেবা, কৃষি-সংশ্লিষ্ট বা ব্যবসায়িক খাতে প্রথম বারের মতো এন্টারপ্রাইজ স্থাপনকারীরা এই সুবিধা পাবেন।
অব্যক্তিগত উদ্যোগের ক্ষেত্রে ৫১ শতাংশ শেয়ার হোল্ডিং এবং নিয়ন্ত্রণকারী অংশীদারিত্ব এসসি, এসটি এবং মহিলা উদ্যোক্তার হাতে থাকতে হবে।
ঋণগ্রহীতা যেন কোনও ব্যাঙ্ক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণখেলাপি না-হন।
আরও পড়ুন: নতুন শ্রম নীতি বাস্তবায়ন হবে? বাজেট ঘিরে প্রত্যাশা তুঙ্গে HRদের
ঋণের প্রকৃতি:
১০ লক্ষ টাকা থেকে ১০০ লক্ষ টাকার মধ্যে কম্পোজিট লোন (মেয়াদী ঋণ এবং কার্যকরী মূলধন-সহ)।
ঋণের উদ্দেশ্য:
এসসি, এসটি কিংবা মহিলা উদ্যোগপতিদের দ্বারা উৎপাদন, পরিষেবা, কৃষি সংশ্লিষ্ট বা বাণিজ্য ক্ষেত্রে নতুন উদ্যোগ স্থাপন।
ঋণের আকার:
মেয়াদী ঋণ এবং কার্যকরী মূলধন-সহ প্রকল্প ব্যয়ের ৮৫ শতাংশের কম্পোজিট লোন। যদি ঋণগ্রহীতার অবদান অন্য কোনও স্কিম থেকে কনভারজেন্স সহায়তার সঙ্গে প্রকল্প ব্যয়ের ১৫ শতাংশ অতিক্রম করে, তা-হলে প্রকল্প ব্যয়ের ৮৫ শতাংশ কভার করার জন্য প্রয়োজনীয় ঋণের শর্ত প্রযোজ্য হবে না।
সুদের হার:
সুদের হার হবে সেই বিভাগের জন্য ব্যাঙ্কের সর্বনিম্ন প্রযোজ্য হার (রেটিং বিভাগ) যাতে বেশি না-হয় (বেস রেট (এমসিএলআর) + ৩ শতাংশ + টেনার প্রিমিয়াম)।
সিকিউরিটি:
প্রাথমিক নিরাপত্তার পাশাপাশি, ব্যাঙ্কগুলির ঠিক করা স্ট্যান্ড আপ ইন্ডিয়া লোনের জন্য ক্রেডিট গ্যারান্টি ফান্ড স্কিমের গ্যারান্টি বা গ্যারান্টির মাধ্যমে ঋণটি সুরক্ষিত হতে পারে।
রিপেমেন্ট বা ঋণ পরিশোধ:
৭ বছরের মধ্যে ঋণ পরিশোধ করতে হবে। সর্বোচ্চ ১৮ মাসের মোরাটোরিয়াম পিরিয়ড।
ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল:
ওভারড্রাফটের মাধ্যমে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল তোলা যেতে পারে। ঋণগ্রহীতার সুবিধার জন্য ‘রুপে’ ডেবিট কার্ড জারি করা হবে।
মার্জিন মানি:
এই স্কিমে ১৫ শতাংশ মার্জিন মানির বিধান রয়েছে। ঋণগ্রহীতাকে প্রকল্প খরচের অন্তত ১০ শতাংশ নিজস্ব অবদান রাখতে হবে।