ভারতের আয়কর আইনে ২ লাখের বেশি নগদ লেনদেন নিষিদ্ধ। সে যে কোনও ক্ষেত্রেই হোক না কেন। অর্থাৎ যদি কেউ এক লপ্তে ৩ লক্ষ টাকার গয়না কেনেন, তাহলে তাঁকে অবশ্যই চেক, ক্রেডিট কার্ড, ডেবিট কার্ড বা ব্যাঙ্ক ট্রান্সফারের মাধ্যমে বিল মেটাতে হবে। এমনকী, পরিবারের কোনও সদস্যের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার ক্ষেত্রেও এই নিয়ম মেনে চলতে হবে। উচ্চ মূল্যের লেনদেনে নগদের ব্যবহার কমাতে ২৬৯ এসটি ধারার আওতায় ২ লাখ টাকার বেশি নগদ গ্রহণ করার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। এর মানে এক দিনে একজন নিকটাত্মীয়ের কাছ থেকেই ২ লাখ টাকার বেশি গ্রহণ করতে পারবেন না।
advertisement
আরও পড়ুন-প্রথম স্ত্রীর অনুমতি নিয়ে দ্বিতীয়বার বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চলেছেন ৬৬ বছরের অরুণ লাল
এখানেই শেষ নয়, এই নিয়মে কোনও অনুষ্ঠানে ২ লাখের বেশি নগদ উপহারও গ্রহণ করা যাবে না। যদি নিয়ম না মেনে কেউ ২ লাখ টাকার বেশি নগদ নেন তাহলে প্রাপ্ত পরিমাণের সমান জরিমানা দিতে হবে। অনেকেই আয়কর ছাড় পেতে স্বাস্থ্য বিমা কেনেন। কিন্তু সে ক্ষেত্রেও নগদে টাকা দেওয়া উচিত নয়। কারণ নিয়ম অনুযায়ী যদি কেউ বিমার প্রিমিয়াম নগদে মেটান, তাহলে তিনি ৮০ডি ধারার অধীনে ছাড় পাবেন না। তাই ব্যাঙ্কিং সিস্টেমের মাধ্যমে প্রিমিয়াম দেওয়া উচিত। একজন ব্যক্তি একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা বন্ধুর কাছ থেকে যদি নগদ ঋণ নেন, তা হলে মোট পরিমাণ ২০ হাজারের বেশি হলে চলবে না। ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য। ২০ হাজার টাকার বেশি হলে সেটা চেক, ক্রেডিট কার্ড, ডেবিট কার্ড বা ব্যাঙ্ক ট্রান্সফারের মতো মাধ্যম ব্যবহার করা আবশ্যক।
সম্পত্তি লেনদেনের ক্ষেত্রেও সর্বাধিক নগদ লেনদেনের পরিমাণ ২০ হাজার টাকা। যদি অগ্রিম দেওয়া হয়, সে ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য। যদি একদিনে কোনও ব্যক্তিকে নগদে প্রদান করা হয় সেক্ষেত্রে স্ব-নিযুক্ত করদাতারা ১০ হাজার টাকার বেশি ছাড় দাবি করতে পারেন না।