বহু দিন ধরেই কনফারেন্স অফ অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্সের অভিযোগ এই যে Amazon এবং Flipkart-এর মতো বিশাল ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মগুলো দেশীয় আইনকে মর্যাদা দিয়ে সুস্থ প্রতিযোগিতার পথে হাঁটে না, তাদের চাপে পড়ে বিলুপ্তির মুখে এসে দাঁড়িয়েছে দেশের ক্ষুদ্র এবং মাঝারি ব্যবসায়ীরা। তাই কমার্স অ্যান্ড কনজিউমার্স অ্যাফেয়ার্সের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গয়ালের (Piyush Goyal) কাছে আবেদন জানিয়েছেন কনফারেন্স অফ অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্সের দেশীয় স্তরের প্রেসিডেন্ট বিসি ভারতীয় (BC Bhartia) এবং সেক্রেটারি জেনারেল প্রবীণ খান্ডেলওয়াল (Praveen Khandelwal)- কনজিউমার অ্যাক্টের আওতায় ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম নিয়ে সরকারের তরফে যে নয়া আইন প্রণয়ণের কথা ছিল, তা যেন অবিলম্বে চালু করা হয়!
advertisement
আরও পড়ুন- গুজরাত সরকারের সঙ্গে মউ চুক্তি সাক্ষর অ্যামাজনের, বিরোধীতায় ব্যবসায়ীদের সংগঠন সিএআইটি !
সরকার এই বক্তব্যের সঙ্গে সহযোগিতা করবে, এমনটাই আশা করে ভোট ব্যাঙ্কের প্রশ্ন তুলেছে কনফারেন্স অফ অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্স। তাদের দাবি, দেশের সরকার সব কিছুই ভোটের পক্ষে-বিপক্ষে রেখে বিচার করে থাকে, সেক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের স্বার্থরক্ষার ক্ষেত্রেও এর তুল্যমূল্য বিচার করা উচিত। সন্দেহ নেই, সরকারের কাছে যেন প্রচ্ছন্ন হুমকি পাঠিয়ে রেখেছে সংগঠন তাদের এই বক্তব্যে। সম্প্রতি নয়াদিল্লিতে যে অধিবেশন হয়েছে, সেখান থেকেও এই আগ্রাসী মনোভাবের বার্তা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
কনফারেন্স অফ অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্সের তরফে জানানো হয়েছে যে ‘হল্লা বোল অন ই-কমার্স’ (Halla Bol on e-commerce) নামে তারা এক কর্মসূচির আয়োজন করতে চলেছে। যার মধ্যে প্রথম কয়েকদিন, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসের ১৫ তারিখ থেকে ২৩ তারিখ পর্যন্ত পালিত হবে প্রতিবাদী সপ্তাহ হিসাবে। দেশের নানা জেলায় এই সময় জুড়ে নিজেদের দাবিদাওয়া এবং ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মের একচেটিয়া বাণিজ্যনীতির বিরোধিতা করে ধর্নায় বসবেন সংগঠনের সদস্যরা। এর পরে ৩০ সেপ্টেম্বর নাগাদ একেকটি জেলার পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর দফতরে চিঠিও পাঠানো হবে। একই ভাবে, মুখ্যমন্ত্রীর দফতর, সাংসদদের দফতর, বিধায়কদের দফতরেও চিঠি পাঠাবেন তাঁরা। এখানেই শেষ নয়, এতে কাজ না হলে ১০ থেকে ১৪ অক্টোবর ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশে তাদের কুশপুত্তলিকা দাহ করা হবে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে, জানিয়েছেন ভারতীয় এবং খান্ডেলওয়াল।
কনফারেন্স অফ অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্সের তরফ থেকে আরও জানানো হয়েছে যে বিদেশি ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মের বিরুদ্ধে এই লড়াইয়ে মানসিক এবং আর্থিক সমর্থন লাভ করার জন্য তারা দেশীয় সংস্থাগুলোরও দ্বারস্থ হবে। এক্ষেত্রে এখনও পর্যন্ত তাদের বক্তব্যে উঠে এসেছে টাটা (Tata), গডরেজ (Godrej), রিলায়েন্স (Reliance), হিন্দুস্তান লিভার (Hindustan Lever), পতঞ্জলি (Patanjali), আদিত্য বিড়লা গ্রুপ (Aditya Birla Group), পিরামল গ্রুপের (Piramal Group) মতো ডাকসাইটে দেশীয় সংস্থার নাম। তবে শেষ পর্যন্ত এই সব সংস্থা কনফারেন্স অফ অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্সের জেহাদে যোগ দেবে কি না, তা এখনও পর্যন্ত রয়েছে ভবিষ্যতের গর্ভে!