পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড হল এমন একটি স্ক্রিম, যেখানে নাগরিকরা ট্যাক্স সেভ করতে পারেন ইইই (EEE) ফিচারের মাধ্যমে। অর্থাৎ এই ফান্ড হল একটি ট্যাক্স ফ্রি সেভিংস স্কিম। ভারতের মিনিস্ট্রি অফ ফিনান্স ১৯৬৮ সালে চালু করে পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড। এর মাধ্যমে ভারতীয় নাগরিকেরা ট্যাক্সের ওপর বিভিন্ন ধরনের সুবিধা পান।
আরও পড়ুন: মাত্র ৫ হাজার টাকায় বাড়ি নিয়ে আসুন Alto k10,দেখে নিন কত ডাউন পেমেন্ট করতে হবে
advertisement
পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ডের সুদের হার এবং ম্যাচিউরিটি -
বর্তমানে পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড বার্ষিক ৭.১ হারে সুদ দেয়। পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ডের সুদ নির্ধারণ করা হয় মাসিক ভিত্তিতে। বিনিয়োগকারীরা তাঁদের টাকা পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড অ্যাকাউন্টে বিনিয়োগ করতে পারেন ১৫ বছরের জন্য। যে সকল বিনিয়োগকারীর ১৫ বছর পর এই টাকা তুলতে না চান, তাঁরা আরও বাড়িয়ে দিতে পারেন এই ফান্ডের সময়সীমা। অর্থাৎ বিনিয়োগকারীরা নিজেদের প্রয়োজন অনুযায়ী পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ডের সময়সীমা বাড়িয়ে দিতে পারেন। পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড অ্যাকাউন্ট খোলার পাঁচ বছর পর সেই টাকা তোলা যায়। অর্থাৎ পাঁচ বছরের আগে পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তোলা যাবে না।
এই ফান্ডে প্রতিদিন ৪১৭ টাকা বিনিয়োগ করে ১ কোটি টাকা রিটার্ন পাওয়া সম্ভব -
পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ডে খুবই সুরক্ষিত ভাবে ১ কোটি টাকা রিটার্ন পাওয়া সম্ভব। কারণ এই স্কিমে সুদের হার খুব ভাল এবং সুরক্ষিতভাবে কর ছাড়ের সুবিধা পাওয়া যায়। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক এই ফান্ডে প্রতিদিন ৪১৭ টাকা বিনিয়োগ করে ১ কোটি টাকা রিটার্ন পাওয়ার উপায়।
পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ডে প্রতিদিন ৪১৭ টাকা করে বিনিয়োগ করলে প্রতিমাসে বিনিয়োগ করা হবে ১২,৫০০ টাকা অর্থাৎ কোনও বিনিয়োগকারী যদি প্রতিদিন ৪১৭ টাকা করে ফান্ডে বিনিয়োগ করেন, তাহলে ১ বছরে তিনি পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ডে বিনিয়োগ করছেন ১,৫০,০০০ টাকার একটু বেশি। পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ডে এই হারে ১৫ বছর ধরে বিনিয়োগ করলে মোট বিনিয়োগ করা টাকার পরিমাণ হবে ৪০.৫৮ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন: বড় সুখবর! শীঘ্রই পিপিএফ-এর সুদের হার বৃদ্ধি করতে পারে সরকার
কেউ যদি ২৫ বছর বয়সে পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ডে বিনিয়োগ করা শুরু করেন এবং ৫০ বছর অবধি চালান, তাহলে তিনি ২৫ বছর ধরে এই ফান্ডে বিনিয়োগ করবেন। অর্থাৎ ম্যাচিউরিটির সময় তিনি ১.০৩ কোটি টাকা রিটার্ন পাবেন। যার পুরোটাই হবে ট্যাক্স-ফ্রি। এক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে যে এই স্কিমে সুদ বাবদ পাওয়া যাচ্ছে প্রায় ৬৬ লাখ টাকা। ২৫ বছরে এই স্কিমে বিনিয়োগ করা হচ্ছে ৩৭ লাখ টাকা।
পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ডে প্রতি মাসের সুদের হিসাব করা হয়। পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ডে প্রতি মাসের ১ থেকে ৫ তারিখের মধ্যে সুদের হিসাব করা হয়। যাঁরা এত পরিমাণে টাকা এই পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ডের বিনিয়োগ করতে অক্ষম, তাঁরা প্রতি বছর ৫০০ টাকা করেও বিনিয়োগ করতে পারেন এই ফান্ডে।