সবকিছুর সূচনা হয়েছিল নিঃশব্দে, বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ল্যাবরেটরিতে। বিশেষ তাপমাত্রা ও আলোর পরিবেশে গবেষকরা কেশরফুল ফোটাতে সক্ষম হন। বিভাগের প্রধান অধ্যাপক অমরেন্দ্র পান্ডে জানান, “এই সাফল্য প্রমাণ করে উত্তরবঙ্গের পাহাড়ি জলবায়ু কেশর চাষের জন্য আদর্শ হতে পারে। কার্শিয়াং ও কালিম্পং এলাকায় বাণিজ্যিকভাবে এই চাষ শুরু করা গেলে কৃষকরা বিপুল লাভবান হবেন।”
advertisement
আরও পড়ুনঃ কাটতে পারেন না বলে আনারসই কেনেন না? ‘এই’ সহজ কৌশল মানুন, গোটা আনারস কাটতে পারবেন মাত্র ২ মিনিটে
গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ল্যাবে ফোটা কেশরফুলের রঙ, ঘ্রাণ ও গঠন প্রায় কাশ্মীরি কেশরের মতোই। দীপাবলির ঠিক আগে যখন প্রথম কেশরফুল ফোটে, তখন গবেষক দলের আনন্দে মুখর হয় গোটা বিভাগ। তাদের বিশ্বাস, এই চাষ সফল হলে পাহাড়ি অঞ্চলে নতুন কৃষি বিপ্লবের সূচনা হবে। অধ্যাপক অমরেন্দ্র পান্ডে বলেন, বিশ্বের অন্যতম দামি এই মশলা। কেশরের দাম প্রতি কিলোগ্রামে কয়েক লক্ষ টাকা পর্যন্ত পৌঁছয়। তাই উত্তরবঙ্গে তার উৎপাদন শুরু হলে তা শুধু কৃষকদের আর্থিক অবস্থাই বদলাবে না, গোটা এলাকার অর্থনৈতিক মানচিত্রেও আনবে বড় পরিবর্তন।
উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের এই গবেষণার সাফল্য শুধুমাত্র এক বৈজ্ঞানিক অর্জন নয়, এটি উত্তরবঙ্গের কৃষি-অর্থনীতির ভবিষ্যতের দিকনির্দেশও বটে। পাহাড়ি মাটিতে কেশর চাষের এই সম্ভাবনা বাস্তবে রূপ পেলে আগামী দিনে কার্শিয়াং–কালিম্পং শুধু পর্যটনের জন্য নয়, ‘সাফরনের রাজধানী’ হিসেবেও পরিচিত হতে পারে। আর সেই স্বপ্নের প্রথম পাতা লেখা হয়ে গেল এই ক্ষুদ্র কেশরফুলের পাপড়িতে, উত্তরবঙ্গের গর্বে।





