লেপ তোষক তৈরি করছেন একা হাতে। মোটা ছুঁচ নিয়ে মাথার মধ্যে সুতো ঘষে করছেন সেলাই। লাঠি দিয়ে পেটাচ্ছেন তোষক।এটি এমন একটি জীবিকা যে তার রমরমা ছিল আজ থেকে প্রায় ১০ থেকে ১৫ বছর আগে। তখনও জনপ্রিয় হয়নি অনলাইন বাজার। অনলাইন মার্কেটে রমরমা ছিল না বিন্দুমাত্র। হাতে বানানো লেপ-তোষক পছন্দ করতেন মানুষ। বাড়ির মা ঠাকুমারা মনে করতেন, হাতে বানানোর লেপ তোষকে থাকে ভালবাসার ছোঁয়া। তবে অনলাইন মার্কেট আসার পর, মানুষ বেছে নিয়েছেন রেডিমেড লেপ তোষক। দেখতে বেশি ফিটফাট, চকচকে প্যাকেজিং।
advertisement
আরও পড়ুন: স্ত্রীর নামে এই স্কিমে বিনিয়োগ করুন, এক পয়সাও কর দিতে হবে না, লাভও হবে প্রচুর
ধীরে ধীরে হারিয়ে যেতে বসেছে মোহাম্মদ নাঈমের মত বহু ব্যবসায়ীর ব্যবসা। বাঁকুড়া শহরে আসলে ঈদগা মহল্লায় থাকেন তিনি। নাঈম মিয়ার বাবাও করতেন এই একই কাজ। সেই জন্য ছোট থেকেই বাঁকুড়ায় যাতায়াত। একদম বাঁকড়ি টানে, গড় গড় করে বাংলা বলতে পারেন তিনি।
আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের জন্য সুখবর, DA-এর পর ‘এই’ দুটি ভাতায় বিশাল বৃদ্ধি, জেনে নিন
বাঁকুড়ার আনাচে-কানাচে লুকিয়ে রয়েছে বিভিন্ন গল্প এবং মানুষের মৌলিক জীবনধারা,জীবন চর্চা এবং জীবিকা। জীবিকা গুলি একটু স্টাডি করলে কিংবা পর্যবেক্ষণ করলে বোঝা যাবে জীবিকা গুলির গুরুত্ব এবং বর্তমান প্রেক্ষাপট। হাতে তৈরি করা লেপতোষক এর প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে বোঝা গেল শীতকালে খুব একটা অর্ডার আসেনি। তবুও হতাশ না হয়ে কাজ করে চলেছেন মোহাম্মদ নাঈম।
নীলাঞ্জন ব্যানার্জী