কী কী বিষয়ের উপর সুদের হার নির্ভর করে—
ঋণের পরিমাপ:
কী পরিমাণ অর্থ ঋণ নেওয়া হচ্ছে, তার উপর নির্ভর করে সুদের হার। সাধারণত কম ঋণ নিলে সুদের হার কম হয়। আসলে এর সঙ্গে ঋণদাতার ঝুঁকিও যুক্ত থাকে।
মেয়াদ:
ঋণ গ্রহণের মেয়াদও সুদের হারের উপর প্রভাব ফেলে। সাধারণত দীর্ঘ মেয়াদে ঋণ নিলে সুদের হার কিছুটা কম হয়। আবার মেয়াদ কম হলে সুদের হার বেশি হতে পারে।
advertisement
ঋণ ও মূল্যের অনুপাত:
লোন-টু-ভ্যালু রেশিও (এলটিভি) আবার ক্ষেত্র বিশেষে পৃথক হতে পারে। কারণ সোনার বাজার মূল্যের সঙ্গে ঋণের মাপ কী ভাবে করা হবে, তা নির্ধারণ করেন স্বয়ং ঋণদাতা। তবে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক এই হার ৭৫ থেকে ৯০ শতাংশ করেছে। তবে সোনার নিরাপত্তা থাকায় সাধারণত অন্য ঋণের থেকে এটিতে সুদের হার কম হয়।
ক্রেডিট স্কোর:
ক্রেডিট স্কোর কিন্তু স্বর্ণ ঋণের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হয়। গোল্ড ক্রেডিট স্কোর ভাল থাকলে কম সুদের ঋণ পাওয়া যেতে পারে।
মাসিক রোজগার:
নিয়মিত রোজগারের উৎস থাকলে স্বর্ণ ঋণ পেতেও সুবিধা হয়। নিয়মিত ভাল রোজগার দেখানো গেলে ঋণের উপর সুদের হার কম হতে পারে। নাহলে সুদের হার বৃদ্ধি পেতে পারে।
বাজারের পরিস্থিতি:
বাজার পরিস্থিতির উপরেও স্বর্ণ ঋণের সুদের পরিমাপ নির্ভর করে। মুদ্রাস্ফীতি, রাজনৈতিক পরিস্থিতি, সরকার পরিবর্তন, সোনার চাহিদা, বিশ্ববাজারে কিংবা দেশে সোনার দামের ওঠা-পড়া এবং সর্বোপরি আরবিআই নির্ধারিত রেপো রেটের উপর স্বর্ণ ঋণের সুদের হার নির্ভর করে।
ঋণ সংস্থা নির্বাচনের কৌশল—
তুলনা:
বাজারে অনেক স্বর্ণ ঋণদাতা সংস্থা রয়েছে। তাই ঋণ গ্রহণের আগে ঋণদাতাদের বিষয়ে বিস্তারিত জেনে তাদের সুদের হারের মধ্যে একটি তুলনা করে দেখা দরকার।
আরও পড়ুন: Alipurduar News: ছোট্ট দোকান, পুলিশ তল্লাশি চালাতেই চোখ কপালে উঠল, ওগুলো কী?
দর কষাকষি:
বাজার থেকে সমস্ত সংস্থার দর পেয়ে গেলে, দর কষাকষি করা যায়। সার্বিক ভাবে পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তি থাকলে ঋণদাতা সংস্থা দর কষাকষিতে রাজি হতেই পারে। সেক্ষেত্রে নিজেকে যোগ্য হিসেবে উপস্থাপন করতে হবে।
আরও পড়ুন: এগরা-বজবজ-বিস্ফোরণ! রাজ্যজুড়ে ২০০০ কেজি ‘নিষিদ্ধ’ বাজি উদ্ধার! শুধু হুগলিতেই ৯০০ কেজি…
স্বল্প মেয়াদের ঋণ:
স্বল্প মেয়াদে ঋণ নিলে সুদের হার কম হতে পারে। ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে এক সপ্তাহ থেকে তিন বছর পর্যন্ত সময় পাওয়া যেতে পারে। ফলে ক্ষমতা থাকলে অধিক মাসিক কিস্তিতে স্বল্প মেয়াদে ঋণ শোধ করাই বুদ্ধিমানের কাজ।