উত্তরপ্রদেশের শাহজাহানপুরের কয়েকজন কৃষক ঐতিহ্যবাহী গম বা ধানের ফসল চাষ ছেড়ে উদ্যানজাত ফসল উৎপাদনের চেষ্টা করেছিলেন। এখন তাঁরা লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করেন।
শাহজাহানপুর জেলার জালালাবাদের বাসিন্দা অংশুল মিশ্র ২০১৯ সালে চেন্নাই থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে B.Tech করার পরও গ্রামে ফিরে কৃষিকাজেই মন দেন। ২০১৮ সালেই তিনি পাঁচ একর জমিতে প্রায় ২৫,০০০ ড্রাগন ফ্রুটের চারা রোপণ করেন। এই বছর তাঁর ওই ৫ একর জমিতে ৯ লক্ষ টাকার ড্রাগন ফ্রুট ফলেছে।
advertisement
অন্যদিকে বিকাশ জেলার রাওয়াতপুর গ্রামের কৃষক রিজওয়ান আলি জানান, জেলা উদ্যানপালন অফিসের পরামর্শে তিনি তাঁর খামারে কলা চাষ শুরু করেন। ৯ একর জমিতে কলা চাষ করে এবার তিনি প্রতি একরে ৩০০ থেকে ৩৫০ কুইন্টাল ফলন পেয়েছেন। রিজওয়ান জানান, এই চাষে তাঁর খরচ হয়েছে দেড় লক্ষ টাকা। কিন্তু ফসল বেচে সেই টাকায় লাভও হয়েছে দেদার। প্রতি কুইন্টাল কলা বিক্রি হয়েছে দুই থেকে আড়াই হাজার টাকায়।
শাহজাহানপুর নগরের বাসিন্দা আনন্দ আগরওয়াল গত ২৫ বছর ধরে ইলেকট্রনিক্সের ব্যবসা করছেন। তবে গত বছর থেকে তিনি চাষে মন দিয়েছেন। শহরের কাছে খালসা গ্রামে দুই একর জমিতে ভার্মি কম্পোস্ট তৈরি শুরু করেছেন। এখন প্রতি মাসে ৭০০ থেকে ৮০০ কুইন্টাল ভার্মি কম্পোস্ট উৎপাদিত হচ্ছে। তাঁর দাবি, ভার্মিকম্পোস্ট থেকে প্রায় ৪০-৫০ শতাংশ লাভ পান। ৫০ কেজি ভার্মি কম্পোস্ট বিক্রি করেন প্রায় ৪০০ টাকায়।
বিকাশ জেলার কান্ত এলাকার নানকপুর গ্রামের বাসিন্দা যশবীর সিং B.Tech পড়ার সময় পেয়ারা চাষ শুরু করেন। কলকাতা থেকে ৪৫০০টি তাইওয়ানের পেয়ারা চারা নিয়ে এসেছিলেন। দুই বছরে তিন একর জমিতে চাষ করেছেন সেই পেয়ারা। যশবীর জানান, বছরে প্রায় ২০ হাজার টাকা খরচ হয়। কিন্তু বিক্রি হয় পাঁচ লক্ষ টাকার পেয়ারা।
এদিকে পুওয়ান শহরের হরি ওমের নিজস্ব কোনও জমি নেই। তবু পেয়ারা চাষ করে তিনিও লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করছেন। কৃষক হরি ওম এক বছর আগে গাংসারায় দুই একর জমি লিজ নিয়ে ১৮০০ পেয়ারার চারা রোপণ করেন। সেই গাছে এখন ফল এসেছে। এখনও পর্যন্ত মাত্র ৫০ শতাংশ পেয়ারা বিক্রি হয়েছে। তাতেই তাঁর আয় হয়েছে দেড় লক্ষ টাকা।