একসময় কাজের অভাবে চিন্তিত ছিলেন তিনি। কিন্তু হাল না ছেড়ে শুরু করেন এই ব্যবসা। গ্রামের স্বাভাবিক আবহাওয়া, খোলা জায়গা আর অল্প পুঁজিকে হাতিয়ার করে শুরু করেন দেশি মুরগি চাষ। শুরুটা খুব ছোট পরিসরে, মাত্র কয়েক ডজন মুরগি নিয়ে। এখন তাঁর খামারে প্রায় ৫০০-রও বেশি দেশি মুরগি। প্রতিদিনই তার দেখভাল করেন তিনি। যদিও তেমন কোনও পরিচর্যা নেই এই দেশি মুরগি প্রতিপালনে।
advertisement
আরও পড়ুন: ২ পাড়ার বচসা, তুমুল ইটবৃষ্টি! এ কী কাণ্ড! হুলুস্থুল দক্ষিণ ২৪ পরগনায়, কেন ঘটল এমন ঘটনা?
দেশি মুরগি পালন খুব বেশি খরচসাপেক্ষ নয়। প্রায় ১০০ মুরগি পালনে খরচ হয় প্রায় ১৭ থেকে ১৮ হাজার টাকা। কিন্তু মাত্র তিন মাসে সেই চাষ থেকেই লাভ হয় ৩০ হাজার টাকার মতো। বর্তমানে বছরে চারবার বিক্রির সুযোগ পান তিনি, ফলে প্রতি বছর প্রায় ২ লক্ষ টাকারও বেশি লাভ হচ্ছে তাঁর। শুধু তাই নয়, দেশি মুরগি খুব বেশি অসুস্থ হয় না, ওষুধপত্র বা খাদ্যও তুলনামূলকভাবে সহজলভ্য। ফলে ঝুঁকি কম, পরিশ্রম বেশি নয়, কিন্তু লাভ অনেক।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
পশ্চিম মেদিনীপুরের ওই যুবক এখন এলাকার অন্যান্য বেকার যুবকদেরও উৎসাহ দিচ্ছেন এই ধরনের ছোট উদ্যোগে নামতে। রামের কথায়, “চাকরির পিছনে না ছুটে, যদি গ্রামের মধ্যেই নিজের কাজ তৈরি করা যায়—তাহলে পরিবার, সমাজ, এমনকি নিজের আত্মবিশ্বাসও বদলে যাবে।” রামের খামারে এখন প্রতিদিনই গ্রামের নানা মানুষ আসেন দেখতে, কেউ শেখার জন্য, কেউ আগ্রহ নিয়ে শুরু করার পরিকল্পনা করতে। এক কথায়, রাম বেরা এখন গ্রামের নতুন অনুপ্রেরণা—একজন “দেশি উদ্যোক্তা”, যিনি প্রমাণ করেছেন, সাফল্য শহরের আলোয় নয়, পরিশ্রমে আর ভাবনায় প্রতিষ্ঠিত হওয়া সম্ভব।