মধ্যবিত্তের অসময়ের সম্বল হল একটি লক্ষ্মীর ভাঁড়। চিরাচরিত কাল থেকেই মধ্যবিত্তের ঘরে এই জিনিসটির ঠাঁই মেলে। যা হল একটি লক্ষ্মীর ভাঁড়। যাতে বিরাজ করে স্বয়ং মা লক্ষ্মী। অর্থাৎ ঐতিহ্যবাহী টাকা সঞ্চয় করার মাটির পাত্র। পশ্চিম বাংলায় মূলত গোলাকৃতি লাল রঙের প্রচলিত লক্ষ্মীর ভাঁড় মেলে যা একসময় প্রতিটি বাড়িতেই থাকত। বর্তমানে এর ব্যবহার অনেকটাই কমেছে। কিন্তু চিরাচরিত ওই গোলাকৃতি লক্ষ্মী ভাঁড়ের চেয়ে ভিন রাজ্য থেকে আসা বিভিন্ন আকৃতির লক্ষ্মীর ভাঁড়ের চাহিদা রয়েছে বাজারে।
advertisement
আরও পড়ুন: ট্রেন থেকে পড়ে মৃত্যু যাত্রীর, ২ কিমি দূরে থামান হয় ট্রেন! চোপড়ার দুর্ঘটনায় দানা বাঁধছে রহস্য
মাছ, পেঁচা, হাঁস ও টিয়া পাখি সহ কুমড়ো ও নানা সবজি ও ফলের আকৃতির লক্ষ্মীর ভাঁড় পাওয়া যায় ওই দোকানে। রঙবেরঙের ওই সমস্ত লক্ষ্মীর ভাঁড় বাছাই করে ভিন রাজ্য থেকে নিয়ে আসেন দিবাকরবাবু। ওই ডিজাইনের লক্ষ্মী ভাঁড়গুলিতে যেমন অর্থ সঞ্চয় করা যায় তেমনি গৃহসজ্জাতেও কাজে লাগে। দিবাকরবাবু জানান, তাঁর বাবা মহেন্দ্র যাদব প্রথম ওই ব্যবসা শুরু করেন। তিনি উত্তরপ্রদেশ ও ঝাড়খণ্ড থেকে রঙবেরঙে ও নানা ডিজাইনের লক্ষ্মীর ভাঁড় কিনে এনে পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুরে বিক্রি করতেন। তাঁর দোকানে কেবল লক্ষ্মীর ভাঁড়ই মেলে প্রথম থেকেই। লক্ষ্মীর ভাঁড় স্পেশ্যাল দোকান।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
দোকানটি দুর্গাপুর রেল স্টেশনের পাশে হওয়ায় বহু জেলার ও ভিন জেলার মানুষ ওই দোকান থেকে লক্ষ্মীর ভাঁড় কিনে নিয়ে যায়। মহেন্দ্রবাবু মৃত্যুর পরে বর্তমানে দিবাকরবাবু ওই ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। বর্তমানে তাঁর দোকানে ১০ টাকা থেকে শুরু করে প্রায় এক হাজার টাকা দামেরও মাটির লক্ষ্মীর ভাঁড় পওয়া যায়।





