TRENDING:

Business Idea: টাকার ভাঁড় বেচেই ৭৫ বছর ধরে আয় দুর্গাপুরের ব্যবসায়ীর! তবে ব্যবসাতে রয়েছে অন্যরকম বিজনেস আইডিয়া

Last Updated:

দীর্ঘ প্রায় ৭৫ বছর ধরে বিক্রি করে আসছেন দুর্গাপুর বাজারের এক ব্যবসায়ী দিবাকর যাদব। তাঁর ব্যবসায় রয়েছে আলাদা রকম বিজনেস আইডিয়া

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
দুর্গাপুর, দীপিকা সরকার: লক্ষ্মীর ভাঁড় বঙ্গজীবনের অঙ্গ। বঙ্গে উত্তরপ্রদেশ ও ঝাড়খণ্ড থেকে আমদানি মাটির রকমারি ডিজাইনের লক্ষ্মীর ভাঁড় দেদার বিকচ্ছে দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলে। দীর্ঘ প্রায় ৭৫ বছর ধরে বিক্রি করে আসছেন দুর্গাপুর বাজারের এক ব্যবসায়ী দিবাকর যাদব। ভিন রাজ্য-সহ বাংলার ঐতিহ্যবাহী লক্ষ্মী ভাণ্ডারে পরিপূর্ণ তাঁর আদি দোকান৷ কেবল মাটির নয় চিনা মাটির লক্ষ্মীর ভাঁড়ও রয়েছে ওই দোকানে৷ দিবাকর বাবুর দাবি, বাংলার প্রচলিত গোলাকৃতি লাল রঙের লক্ষ্মী ভাঁড়ের চেয়ে বেশি চাহিদা ভিন রাজ্যের রকমারি লক্ষ্মী ভাঁড়ের। তাঁদের দোকানের কোনও  নাম নেই। এলাকায় ‘মেহেতা জির লক্ষ্মী ভাণ্ডারের দোকান’ নামেই পরিচিত। পৈতৃক ব্যবসা আজও চালিয়ে আসছেন দিবাকরবাবু। কেবল শিল্পাঞ্চলবাসী নয় ভিন জেলা সহ দূরদূরান্তের মানুষ ওই ভাঁড় কিনতে ‘মেহেতা জির লক্ষ্মী ভাণ্ডারের’ আসেন।
advertisement

মধ্যবিত্তের অসময়ের সম্বল হল একটি লক্ষ্মীর ভাঁড়। চিরাচরিত কাল থেকেই মধ্যবিত্তের ঘরে এই জিনিসটির ঠাঁই মেলে। যা হল একটি লক্ষ্মীর ভাঁড়। যাতে বিরাজ করে স্বয়ং মা লক্ষ্মী। অর্থাৎ ঐতিহ্যবাহী টাকা সঞ্চয় করার মাটির পাত্র। পশ্চিম বাংলায় মূলত গোলাকৃতি লাল রঙের প্রচলিত লক্ষ্মীর ভাঁড় মেলে যা একসময় প্রতিটি বাড়িতেই থাকত। বর্তমানে এর ব্যবহার অনেকটাই কমেছে। কিন্তু চিরাচরিত ওই গোলাকৃতি লক্ষ্মী ভাঁড়ের চেয়ে ভিন রাজ্য থেকে আসা বিভিন্ন আকৃতির লক্ষ্মীর ভাঁড়ের চাহিদা রয়েছে বাজারে।

advertisement

আরও পড়ুন: ট্রেন থেকে পড়ে মৃত্যু যাত্রীর, ২ কিমি দূরে থামান হয় ট্রেন! চোপড়ার দুর্ঘটনায় দানা বাঁধছে রহস্য

মাছ, পেঁচা, হাঁস ও টিয়া পাখি সহ কুমড়ো ও নানা সবজি ও ফলের আকৃতির লক্ষ্মীর ভাঁড় পাওয়া যায় ওই দোকানে। রঙবেরঙের ওই সমস্ত লক্ষ্মীর ভাঁড় বাছাই করে ভিন রাজ্য থেকে নিয়ে আসেন দিবাকরবাবু। ওই ডিজাইনের লক্ষ্মী ভাঁড়গুলিতে যেমন অর্থ সঞ্চয় করা যায় তেমনি গৃহসজ্জাতেও কাজে লাগে। দিবাকরবাবু জানান, তাঁর বাবা মহেন্দ্র যাদব প্রথম ওই ব্যবসা শুরু করেন। তিনি উত্তরপ্রদেশ ও ঝাড়খণ্ড থেকে রঙবেরঙে ও নানা ডিজাইনের লক্ষ্মীর ভাঁড় কিনে এনে পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুরে বিক্রি করতেন। তাঁর দোকানে কেবল লক্ষ্মীর ভাঁড়ই মেলে প্রথম থেকেই। লক্ষ্মীর ভাঁড় স্পেশ্যাল দোকান।

advertisement

আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
হাতের কাজেই আয়ের দিশা! বাঁশের ঝুড়ি-কুলো বানিয়ে ভাল টাকা লাভ করছেন মাহালিরা
আরও দেখুন

দোকানটি দুর্গাপুর রেল স্টেশনের পাশে হওয়ায় বহু জেলার ও ভিন জেলার মানুষ ওই দোকান থেকে লক্ষ্মীর ভাঁড় কিনে নিয়ে যায়। মহেন্দ্রবাবু মৃত্যুর পরে  বর্তমানে দিবাকরবাবু ওই ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। বর্তমানে তাঁর দোকানে ১০ টাকা থেকে শুরু করে প্রায় এক হাজার টাকা দামেরও মাটির লক্ষ্মীর ভাঁড় পওয়া যায়।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/ব্যবসা-বাণিজ্য/
Business Idea: টাকার ভাঁড় বেচেই ৭৫ বছর ধরে আয় দুর্গাপুরের ব্যবসায়ীর! তবে ব্যবসাতে রয়েছে অন্যরকম বিজনেস আইডিয়া
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল