ওই থালা বাটি ছড়িয়ে পড়ছে দুর্গাপুরের বাজারগুলিতে। আর শহরের বাজারে পরিবেশ বান্ধব থালা বাটির চাহিদাও রয়েছে ব্যাপক। বর্তমানে পরিবেশ দূষণকারী প্লাস্টিক ও থার্মোকলের প্লেটের ব্যবহার বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ফুচকাওয়ালা থেকে শুরু করে স্ট্রিট ফুডের দোকান, হোটেল, পুজো, অনুষ্ঠান সর্বত্র ব্যবহৃত হচ্ছে ওই কাগজের থালা বাটি।তাই দিন দিন এর চাহিদা বেড়েই চলেছে।
advertisement
আশিষনগর এলাকার বাসিন্দা বাবলু মণ্ডল ২০১৭ সালে একটি পেপার প্লেট মেকিং মেশিন ভাড়া নিয়ে কাগজের থালা বাটি তৈরির কাজ শুরু করেন। তাঁর এই উদ্যোগের প্রধান লক্ষ ছিল এলাকার প্রান্তিক পরিবারের মহিলাদের রোজগারের পথ দেখান । সেই মত প্রথম থেকেই এলাকার মহিলাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে তাঁদের মাধ্যমে উৎপাদন শুরু করেন।
বাবলুবাবু তাঁর আগে শুকনো ফুলের ব্যবসা করতেন। থালা বাটির এই ব্যবসা লাভজনক হওয়ায় তিনি ব্যবসা বাড়াতে থাকেন। এই কাগজের থালা বাটি তৈরি করতে বাজারে তিন রকমের মেশিন পাওয়া যায়। যেমন- ম্যানুয়েল মেশিন, হাইড্রোলিক মেশিন ও অটোমেটিক মেশিন। তার মধ্যে তিনি হাইড্রোলিক মেশিন নিজেই ধীরে ধীরে একটা একটা করে কিনতে শুরু করেন। পাশাপাশি এলাকার আরও মহিলাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেন। বর্তমানে তাঁর কাছে পাঁচটি পেপার প্লেট মেকিং মেশিন রয়েছে।
এখন এলাকার প্রায় ১৮ জন মহিলা এই কারখানায় কর্মরত। মহিলারা কেউ মেশিন পরিচালনা করে পাতা বাটি তৈরি করছেন। কেউ আবার পাতার বাটি গুনে প্যাকেটজাত করছেন। আর বাবলুবাবু ওই পাতার বাটি বাজারের দোকানে দোকানে পাইকারি দরে বিক্রি করছেন। ওই কারখানায় কর্মরত মহিলাদের দাবি, এলাকায় মহিলাদের রোজগারের কোনও ব্যবস্থা নেই। তাই নিজের এলাকায় তাঁরা এই কাজের সুযোগ পেয়ে অত্যন্ত কৃতজ্ঞ।