TRENDING:

Business Idea: তমলুকের ২ বোনের নজরকাড়া বিজনেস আইডিয়া! বাড়িতে বসে বানাচ্ছেন 'এই' জিনিস, ব্যাপক চাহিদার সঙ্গে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে ইনকাম

Last Updated:

পড়াশোনার পাশাপাশি সৃজনশীল মন খুঁজে নিয়েছে বিকল্প পেশা। পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকের এই নার্সিং ছাত্রী বাড়িতে বসে যা বানাচ্ছেন তাতে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে তাদের রোজগার

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
তমলুক, সৈকত শী: পড়াশোনার পাশাপাশি সৃজনশীল মন খুঁজে নিয়েছে বিকল্প পেশা। এই নার্সিং ছাত্রী রেজিনের তৈরি হ্যান্ডমেড জুয়েলারি ও নানা ধরনের গিফট আইটেম তৈরি করছেন। অনলাইনে সামগ্রী বিক্রি করে সাবলম্বী হয়ে উঠেছেন। ইচ্ছে থাকলে উপায় হয়, এই প্রবাদকেই যেন সত্যি করে দেখাল তমলুকের এক পড়ুয়া ছাত্রী। চাকরির অভাব ও প্রতিকূল পরিবেশের মধ্যেও নিজেদের দক্ষতা ও সৃজনশীলতাকে হাতিয়ার করে শুরু করেছেন অভিনব এক উদ্যোগ। রেজিন জুয়েলারি ও হ্যান্ডক্রাফট সামগ্রীর ব্যবসা। প্রথমে কোনও অভিজ্ঞতা ছাড়াই শুধুমাত্র ইচ্ছাশক্তিকে সঙ্গে নিয়ে শুরু করেছিলেন এই কাজ। এখন অনলাইনে বিক্রি হচ্ছে দেদার।
advertisement

তমলুক শহরে ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা অনন্যা রায়। ব্যাঙ্গালোর থেকে নার্সিং পাশ করে বর্তমানে বাড়িতে। তাঁর ভাবনা ছিল, জীবনের বিশেষ মুহূর্ত বা প্রিয়জনের স্মৃতি ধরে রাখার এক নতুন উপায় খুঁজে বের করা। সেই ভাবনা থেকেই জন্ম নেয় রেজিন দিয়ে তৈরি গহনা ও সংরক্ষিত সামগ্রীর ধারণা। নার্সিং পড়ার সময়ই রেজিন দিয়ে হ্যান্ডমেড জুয়েলারি ও নানা ধরনের কাস্টমাইজ গিফট আইটেম তৈরি করার কাজ শুরু করেন।

advertisement

আরও পড়ুন: হলদিয়ার যুবতীর তাক লাগানো বিজনেস আইডিয়া! বাড়িতে বসেই তৈরি করছেন সুগন্ধি ‘এই’ জিনিস, লুফে নিচ্ছেন ভিনরাজ্যের বাসিন্দারাও

রেজিন ফুল দিয়ে তৈরি নেকলেস, ব্রেসলেট, রাখি, ঘড়ি, শো-পিস ইত্যাদি। এই সমস্ত জিনিস শুধু আকর্ষণীয় নয়, বরং বছরের পর বছর টেকসই ও সুন্দর থাকে। তবে শুরুটা সহজ ছিল না। বাজারে আসল-নকল পণ্যের ভিড়ে নিজের জায়গা করে নেওয়া, দামি কাঁচামালের খরচ সামলানো সবকিছুই ছিল বড় চ্যালেঞ্জ। তবু হাল ছাড়েননি অনন্যা!

advertisement

আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন

অনন্যার পাশাপাশি এই কাজে হাত লাগিয়েছে তার দিদি অভিষিক্তাও। পূর্ব মেদিনীপুরের অনন্যার দিদি জানান, ‘বোন ব্যাঙ্গালোরে নার্সিং পড়ার সময় শুরু করেছিল রেজিন দিয়ে জুয়েলারি থেকে উপহার সামগ্রী বানানোর কাজ। নার্সিং পাশের পর বাড়িতে সেই কাজ ছোট ব্যবসায় পরিণত হয়েছে। বোনের পাশাপাশি আমিও হাত লাগাই। বর্তমানে অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের উপহার সামগ্রী ও জুয়েলারির অর্ডার আসে। সেইমতো বানিয়ে তাদের পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সারা বছরই অর্ডার আছে। তবে উৎসবের সময়ে অর্ডারের পরিমাণ বাড়ে। রেজিনের দাম অনেকটাই। ফলে রেজিন দিয়ে জুয়েলারি বা উপহার সামগ্রী বানানো ব্যয়বহুল।”

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
শেষ হতে চলেছে ভাঙাচোরা রাস্তার দিন! ঘাটালে বড় পদক্ষেপ, শুধু অপেক্ষা ১০ কোটির
আরও দেখুন

গুণগত মানে জোর দিয়ে ধীরে ধীরে মানুষের বিশ্বাস ও প্রশংসা দুটোই অর্জন করেছেন তাঁরা। এখন তাঁদের তৈরি রেজিন জুয়েলারি ও সামগ্রী শুধুমাত্র জেলার মধ্যেই নয়, ভিনরাজ্যেও কুরিয়ারের মাধ্যমে পৌঁছে যাচ্ছে। স্থানীয় বাজার থেকে অনলাইন গ্রাহক—সব জায়গাতেই প্রশংসা কুড়োচ্ছে তাঁদের তৈরি পণ্য। এই দুই বোনের সাফল্যের গল্প আজ অনেক মহিলার কাছে অনুপ্রেরণা। তাঁরা প্রমাণ করেছেন, মেয়েরা চাইলে নিজের মনের জোরে গড়ে নিতে পারে নিজের পথ। নারীর আত্মনির্ভরতা ও সৃজনশীলতার এই যাত্রা দেখিয়ে দিচ্ছে বর্তমান সময়ে উদ্যোগই হতে পারে পরিবর্তনের চাবিকাঠি।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/ব্যবসা-বাণিজ্য/
Business Idea: তমলুকের ২ বোনের নজরকাড়া বিজনেস আইডিয়া! বাড়িতে বসে বানাচ্ছেন 'এই' জিনিস, ব্যাপক চাহিদার সঙ্গে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে ইনকাম
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল