মোমবাতি বর্তমানে লোডশেডিং-এর সঙ্গী থেকে হয়ে উঠেছে ঘর সাজানোর অঙ্গ। মোমবাতি তৈরিতে এসেছেন নানা পরিবর্তন। সেন্টেড মোমবাতি, জেল মোমবাতি, ফ্লোটিং মোমবাতি সহ আরও কত কী। আপনার সামনেই সাজানো রয়েছে চায়ের কাপ, লাড্ডু, মোদক সহ বিভিন্ন রকমের ফুল কিন্তু এক ঝলকের দেখলে আপনি বুঝতেই পারবেন না এগুলি আসল নয়! আসলে এগুলি মোমবাতি। আর শখের বসে তৈরি এই মোমবাতি এখন হিট সামাজিক মাধ্যমে।
advertisement
পূর্ব বর্ধমানের ইন্দ্রকানন এলাকার বাসিন্দা মিষ্টি রায় চৌধুরী। একটি বিমা কোম্পানিতে কর্মরত তিনি। হঠাৎই একদিন সামাজিক মাধ্যমে প্রথম দেখেন বিভিন্ন ধরনের ডিজাইনের মোমবাতি তৈরি আর সেখান থেকে ইচ্ছা হয় নিজের জন্য এই ধরনের মোমবাতি বানানোর। করেন একটি অনলাইন কোর্স এবং ইউটিউবে বিভিন্ন ভিডিও দেখতে শুরু করেন তিনি। এরপরই কলকাতা বড় বাজার থেকে কাঁচামাল এনে বাড়িতে নিজের জন্য ও ভাইবোন আত্মীয়দের উপহার দেওয়ার জন্য শুরু করেন ডিজাইনার মোমবাতি বানানো আর তার ছবি পোস্ট করেন সামাজিক মাধ্যমে। মুহূর্তের মধ্যে মেলে বিপুল সাড়া। সকলেই জিজ্ঞেস করতে থাকেন কীভাবে এই মোমবাতি সংগ্রহ করতে পারবেন তারা। শখের পাশে শুধু কাজ ধীরে ধীরে পরিণত হয় ব্যবসায়। বর্তমানে তিনি ডিজাইনার মোমবাতি, সেন্টেড মোমবাতি, জেল মোমবাতি-সহ গিফট দেওয়ার জন্যও বিভিন্ন অন্যরকম কাস্টমাইজড মোমবাতি তৈরি করেন।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
মিষ্টি রায় চৌধুরী জানান, শখের বসে শুরু করা কাজ আজ ব্যবসায় পরিণত হয়েছে আর দিনে বাড়ছে এই ধরনের মোমবাতির চাহিদা। শুধু পুজোর সময় নয় সারা বছরই গিফটের জন্য চাহিদা থাকে এই ধরনের মোমবাতির। অনলাইন থেকে স্থানীয় দোকান সব জায়গা থেকেই আসছে অর্ডার। তাই ভবিষ্যতে তার মতো অন্য কেউ যদি এই কাজ শুরু করতে চান তাদের জন্য কোর্স করানোর চিন্তাভাবনা রয়েছে তার। হাতের কাজ আর সোশ্যাল মিডিয়া, সুগন্ধি মোমবাতির বিশেষ ডিজাইন তৈরি করে বাজিমাত পূর্ব বর্ধমানের মিষ্টির। সুগন্ধি মোমবাতি বর্তমানে আর কেবল লোডশেডিংয়ের সঙ্গী নয়, এটি এখন আধুনিক গৃহসজ্জার একটি অপরিহার্য অংশ। আলোর স্নিগ্ধতা, মন মাতানো সুবাস এবং নান্দনিক ডিজাইন সব মিলিয়ে সুগন্ধি মোমবাতি ঘরে তৈরি করে এক মন ভাল করা পরিবেশ।





