কৃষকরা জানাচ্ছেন, এক বিঘা জমিতে তরমুজ চাষ করতে খরচ হয় প্রায় কুড়ি হাজার টাকা, খরচ বাদ দিয়ে তা থেকে প্রায় কুড়ি হাজার টাকা লাভ হয়ে যায়। যদিও এই বছর প্রকৃতিক দুর্যোগের কারণে ফলন কম হয়েছে, স্বাভাবিক ভাবে তাতে লাভ একটু কম হবে বলে জানাচ্ছেন তারা। গরমের সময় অন্যান্য জায়গায় তিল,পাট,বাদাম চাষ হয়।ওই সমস্ত চাষের তুলনায় তরমুজ চাষে লাভ বেশি। পাশাপাশি ওই সমস্ত চাষের তুলনায় তরমুজ চাষে খরচ, পরিশ্রমও অনেক কম হওয়ার কারণে গোয়ালশাঁড়া এলাকার কৃষকরা তরমুজ চাষকে বেছে নিয়েছেন।
advertisement
কৃষকদের দাবি, তরমুজ গাছ রোপন করার ৫৫-৬০ দিনের মাথায় গাছে ফল তুলে নেওয়ার মতো হয়ে যায়। একটি গাছে তিনবার ধরে ফল হয়। তারা এই সমস্ত তরমুজ পাইকারি হিসাবে বিক্রি করেন। তরমুজ গাছ থেকে তোলার পর মাঠ থেকেই গাড়ি লোড হয়ে তরমুজ চলে যাই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের কোনায় কোনায়। যেহেতু তরমুজ গ্রীষ্মকালের উপকারী ফল, তাই তরমুজের চাহিদাও আছে বেশ।
এই চাষে শুধু যে কৃষকরাই লাভ করেন এমনটা নয়,যারা তরমুজ তোলার কাজ করেন তারাও কিছুটা লাভের মুখ দেখেন এই কাজ করে। তাঁদের মতে, তারা কুইন্টাল হিসাবে এই তরমুজ তোলার কাজ করে থাকেন। তা করে কম সময়ে ভাল রোজগার করেন তারা। তারাও বলেন এই বছর ফলন অনেক কম হয়েছে চাষে, এতে তাঁদেরও রোজগার কম হচ্ছে কিছুটা। দীর্ঘ বছর ধরে গোয়ালশাঁড়া এলাকার কৃষকরা তরমুজ চাষে যুক্ত থাকলেও তারা এই চাষের জন্য কোনওরকম অনুদান বা লোন পান না। লোন পেলে তারা এই চাষ আরও বেশি করে করতে পারবেন, সরকার যাতে তাঁদের লোনের ব্যবস্থা করেন সেই দাবি নিয়ে তারা প্রশাসনের দ্বারস্থ হওয়ার পরিকল্পনা করছেন।
রাহী হালদার