সীমা দেবী ঘরের সকল কাজকর্ম করে তার থেকে সময় বের করে শুরু করেছেন এলইডি (Led) বাল্বের ব্যবসা (Business Success Story)। তিনি নিজেই তৈরি করেন সেই এলইডি বাল্ব। এছাড়াও তিনি ইলেকট্রিকের মিটার রিডিংয়েয়ের কাজ করেন। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক সীমা দেবীর জীবনের কাহিনী।
আরও পড়ুন: চাকরি ছাড়বেন কেন? এই ব্যবসায় ঘরে বসেই লাখপতি হওয়ার সুযোগ! মিলবে সরকারি সাহায্যও...
advertisement
সীমা দেবী জানিয়েছেন যে তিনি প্রথমে ইলেকট্রিকের মিটার রিডিংয়ের কাজ শুরু করেন। এর জন্য তিনি কাজ শুরু করার আগে ট্রেনিং নিয়েছেন। কিন্তু এই কাজ শুরু করার পর প্রথম প্রথম তার সেটি ভালো লাগেনি। কারণ এই কাজের জন্য তাকে সবার বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভিজিট করতে হত। কিন্তু তিনি সেটি না ছেড়ে দিয়ে, নিজেকে তার সঙ্গে মানিয়ে নেন। এর ফলে ধীরে ধীরে গ্রামের সবার সঙ্গে তার পরিচিতি বাড়তে থাকে। যা সীমা দেবীকে পরবর্তী সময়ে বিশাল সাহায্য করে। মিটার রিডিং করার পর, সেই বিলের টাকা তিনি নিজেই জমা দেন। ইলেকট্রিক বিল জমা দেওয়ার কাজটি তিনি ফোনের মাধ্যমে অনলাইনেই করেন। এর ফলে প্রতিটি বিলের ওপর তিনি ২০ টাকা করে কমিশন পান।
আরও পড়ুন: মাত্র ২৫০০ টাকায় EV স্টেশন খুলে প্রতি মাসে আয় করুন বিপুল টাকা
ইলেকট্রিক বিল জমা দেওয়ার কাজে দক্ষ হয়ে ওঠার পর, তিনি নতুন কোনও কাজ (Business Success Story) শুরু করার চিন্তাভাবনা করতে থাকেন। এর পর তিনি এলইডি বাল্ব বানানোর ট্রেনিং নেন। এর পর তিনি বিভিন্ন জায়গা থেকে ঋণ নিয়ে বাল্ব তৈরির প্রয়োজনীয় উপকরণ কেনেন। এর পর সীমা দেবী নিজেই প্রায় ২০০-র মতো বাল্ব তৈরি করে ফেলেন। এক একটি বাল্ব প্রায় ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হয় (Business Success Story)। এবার সীমা দেবী তাঁর এই এলইডি বাল্বের ব্যাবসা বাড়ানোর কথা ভাবছেন। সীমা দেবীর এই আর্থিক আত্মনির্ভরতা দেখে গ্রামের অন্যান্য মহিলারাও এখন নিজের পায়ে দাঁড়াতে চান। তাঁদের সকলের কাছে সীমা দেবী একটি রোল মডেল। বর্তমানে সীমা দেবী সেলফ হেল্প গ্রুপের সঙ্গে যুক্ত হয়ে আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া মহিলাদের সাহায্যের কাজে হাত লাগিয়েছেন। মুখরাই জেলার সীমা দেবীর জীবনের এই কাহিনি সকলের কাছেই এক মহান অনুপ্রেরণা।