এ দেশে বর্ষা শুরুর সঙ্গে সঙ্গে নির্মাণ কাজের গতি কমে যায়। বৃষ্টির কারণে নির্মাণকাজ বন্ধ থাকায় নির্মাণসামগ্রীর চাহিদাও কমেছে। এ কারণেই দাম পড়তে শুরু করেছে বলে মনে করা হচ্ছে। বারের পাশাপাশি সিমেন্ট ও নুড়ি পাথর, ক্র্যাশারের মতো অন্য নির্মাণ সামগ্রীর দামও কমেছে।
advertisement
দেশে ইস্পাত বারের দামের ওঠাপড়া নজর রাখে করে এমন একটি ওয়েবসাইট আয়রনমার্টের (Ironmart) মতে, গত দুই সপ্তাহে দেশে বারের দাম টন প্রতি ৪৫০০ টাকা কমেছে। বর্তমানে দেশের সবচেয়ে সস্তা বার পাওয়া যাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের দুর্গাপুরে। এখানে এর দর চলছে প্রতি টন ৪৭,৩০০ টাকা। পাশাপাশি বারের দাম দেশের মধ্যে সবথেকে বেশি উত্তরপ্রদেশের কানপুরে। সেখানে প্রতি টন বারের দর বর্তমানে ৫৯,৩০০ টাকা।
গত ২৭ জুলাই, নয়াদিল্লিতে ইস্পাতের দাম ছিল ৫৬,৫০০ টাকা প্রতি টন। ওই দিনই মহারাষ্ট্রের নাগপুরে দর ছিল ৫২,৩০০ টাকা। এখানে দুই সপ্তাহে বারের দাম টন প্রতি ৩,৭০০ টাকা কমেছে বলে জানা গিয়েছে। একইভাবে, জয়পুরে বারের দাম প্রতি টন ৫৫,০০০ টাকা এবং উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদে ৫৫,৬০০ টাকা বলে জানা গিয়েছে। মধ্যপ্রদেশের ইনদওরে, বার বিক্রি হচ্ছে ৫৩,৭০০ টাকায় এবং পঞ্জাবের মান্ডি গোবিন্দগড়ে প্রতি টন ৫৬,০০০ টাকায়। গুজরাতের ভাবনগরে বারের দর বর্তমানে প্রতি টন ৫৬,০০০ টাকা চলছে। তবে একটা কথা মনে রাখতে হবে, এই দরের উপর ক্রেতাকে ১৮ শতাংশ জিএসটিও (GST) দিতে হবে।
গত এপ্রিল মাসে দেশে বারের দাম সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছিল এবং দেশের অনেক শহরে বারের দাম টন প্রতি ৮৫ হাজার টাকায় পৌঁছেছিল। এরপর জুন মাসে ব্যাপক দাম কমে। প্রতি টন দর ৪৫ হাজার টাকায় নেমে যায়। জুনের শেষের দিকে দর ফের বাড়তে থাকে। গত ১০ জুলাইয়ের পরে দাম আবার কমতে শুরু করে।