আর্থিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ব্যক্তির আয় এবং বিনিয়োগ বুঝে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। যদি কোনও করদাতার বার্ষিক আয় ৭.৫ লাখ টাকা পর্যন্ত হয়, তাহলে নতুন কর ব্যবস্থাই লাভজনক। কারণ কোনও কর দিতে হবে না। পাশপাশি বিনিয়োগের প্রমাণ জমা দেওয়ার প্রয়োজনও নেই।
কিন্তু যাঁদের বার্ষিক আয় ১৫ লাখ টাকা, তাঁরা কী করবেন? নতুন না কি পুরনো কর ব্যবস্থা, তাঁদের জন্য কোনটা ভাল হবে? এই বিষয়টা একটু জটিল। তবে এখানে সম্পূর্ণ হিসেব দেওয়া হল। করদাতা নিজেই বুঝে নিতে পারবেন, তাঁর জন্য কোনটা ভাল হবে।
advertisement
আরও পড়ুন: কোন কোন জিনিসপত্রের দাম বাড়বে? কমবে কোনগুলো? বাজেটের আগে সামনে এল ট্রেন্ড, রইল সম্পূর্ণ তালিকা
পুরনো কর ব্যবস্থায় কর গণনা: পুরনো কর ব্যবস্থায় বিনিয়োগের উপর বিভিন্ন ছাড়ের সুবিধা পাওয়া যায়।
স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন মিলবে ৫০ হাজার টাকা।
তাহলে মোট করযোগ্য আয় দাঁড়াল: ১৫,০০,০০০ – ৫০,০০০ = ১৪,৫০,০০০ টাকা।
ধারা ৮০সি-এর আওতায় (EPF, PPF, ELSS, NSC, শিশুদের টিউশন ফি) বাবদ ১,৫০,০০০ টাকা ছাড় পাওয়া যায়।
করযোগ্য আয় দাঁড়াচ্ছে: ১৪,৫০,০০০–১,৫০,০০০ = ১৩,০০,০০০ টাকা
NPS-এ বিনিয়োগ করলে (ধারা 80CCD 1B-এর আওতায়) – ৫০ হাজার টাকা ছাড় মিলবে।
করযোগ্য আয় হবে:১৩,০০,০০০ – ৫০,০০০ = ১২,৫০,০০০ টাকা।
হোম লোনের সুদে (ধারা 24B-এর আওতায়) – ২ লাখ টাকা ছাড় মেলে।
করযোগ্য আয় দাঁড়ায়: ১২,৫০,০০০ – ২,০০,০০০ = ১০,৫০,০০০ টাকা।
স্বাস্থ্যবিমায় (ধারা 80D-এর আওতায়) বয়স্ক মা-বাবার জন্য ৫০ হাজার টাকা ছাড় পাওয়া যায়।
চূড়ান্ত করযোগ্য আয় দাঁড়াচ্ছে: ১০,৫০,০০০ – ৫০,০০০ = ১০,০০,০০০ টালা।
এই হিসেব অনুযায়ী, পুরনো কর ব্যবস্থায় ওই ব্যক্তিকে ১,১৭,০০০ টাকা কর দিতে হবে।
আরও পড়ুন: সবথেকে সংক্ষিপ্ত বক্তৃতা থেকে শুরু করে পেপারলেস ফরম্যাট; এই ১০টি চমকপ্রদ বিষয় জেনে রাখা আবশ্যক
নতুন কর ব্যবস্থায় কর গণনা: নতুন কর কাঠামোয় কোনও ডিডাকশনের সুবিধা মিলবে না,শুধু ৭৫ হাজার টাকার স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন পাওয়া যাবে।
মোট আয় থেকে ৭৫,০০০ টাকা বাদ দিলে দাঁড়াচ্ছে ১৫,০০,০০০ – ৭৫,০০০ = ১৪,২৫,০০০ টাকা।
এই হিসেবে ১৫ লাখ টাকার বার্ষিক আয়ে নতুন কর কাঠামোতে মোট কর ১,৩০,০০০ টাকা কর দিতে হবে। সোজা কথায়, করদাতা যদি বিনিয়োগের মাধ্যমে ডিডাকশনের সুবিধা নিতে চান, তাহলে পুরনো কর ব্যবস্থাই লাভজনক। কিন্তু বিনিয়োগ না করলে নতুন কর ব্যবস্থায় ভাল।