১ ফেব্রুয়ারি সংসদে বাজেট পেশ করবেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। কিন্তু অর্থমন্ত্রীবাজেট পেশ করবেন আর সঙ্গে সঙ্গে তা কার্যকর হয়ে যাবে, বিষয়টা এত সহজ নয়। বরং বেশ জটিল। অনেকগুলো ধাপ পেরতে হয়।
নির্মলা মূলত বাজেট প্রস্তাব দেবেন। তার উপর তর্ক-বিতর্ক হবে। সাংসদরা অনুমোদন দিলে তবেই পাশ হবে বাজেট। এরপর আরও কিছু ধাপ রয়েছে। সেগুলো পূরণ করলে তবে তা আইনে পরিণত হবে। এটা একটা লম্বা প্রক্রিয়া। এখন প্রশ্ন হল, বাজেট পাশ হয় কী করে? দেখে নেওয়া যাক বিশদে।
advertisement
আরও পড়ুন: আয়কর স্ল্যাবে পরিবর্তন থেকে হোম লোনে ছাড়, বাজেট নিয়ে অনেক আশা মধ্যবিত্তের, সুরাহা হবে?
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী যে বাজেট পেশ করেন, তাতে অনুদানের দাবি করা হয়। এটা প্রস্তাব। অর্থাৎ অমুক খাতে এত টাকা বরাদ্দ করা হোক। সঙ্গে আগামী বছরের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের আনুমানিক খরচের হিসেবও দেওয়া হয়।
অনুদানের যে প্রস্তাব কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী দেবেন, তা নিয়ে আলোচনা করবেন সাংসদরা। এই দাবির অনুমোদন দেওয়ার, কমানো কিংবা বাড়ানোর এবং বাতিল করে দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে সংসদের নিম্নকক্ষের, মানে লোকসভার।
যাইহোক, এরপর বাজেট অধিবেশন চলাকালীন সংসদের বিভাগীয় স্থায়ী কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে অনুদানের দাবির উপর ভোট দেবেন সাংসদরা। ভোটের পর সেই দাবি বা প্রস্তাব অনুদান হিসেবে পাশ হবে।
আরও পড়ুন: দুটি পর্যায়ে চলবে বাজেট অধিবেশন, কোন পর্যায়ে কী হবে? দেখে নিন বিস্তারিত
একটি পূর্ণাঙ্গ বাজেটে যত রকমের দাবিদাওয়া থাকে, সবগুলো নিয়ে আলোচনা সম্ভব হয় না। কারণ সময় কম। তাই স্পিকার ‘গিলোটিন’ পদ্ধতির প্রয়োগ করেন। এতে সমস্ত দাবিদাওয়া একসঙ্গে ভোটে তোলা হয়।
ভোটে যদি অনুদানের দাবি অনুমোদন পায় তাহলে তা ‘অ্যাপ্রোপ্রিয়েশন বিল’-এর অংশ হয়ে যায়। বিল পাশ হওয়ার পর কেন্দ্রীয় সরকার ‘কনসলিডেট ফান্ডস অফ ইন্ডিয়া’ থেকে টাকা তুলতে পারে। যাতে এই অর্থবর্ষে ঋণ শোধ এবং খরচ চালানো যায়।
‘অর্থ বিল’ হল সেই আইন যা আগামী বছরের জন্য কেন্দ্রের আর্থিক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে ব্যবহৃত হয়। এটি কোনও নির্দিষ্ট সময়ের জন্য অতিরিক্ত বাজেট স্কিমও নির্ধারণ করতে পারে। রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের পর, বিল অর্থ আইনে পরিণত হয়। বাজেটের আয়ের অংশকে বৈধতা দেয়। এবং পুরো প্রক্রিয়াটা শেষ হয়।