এ-দিন সকালে ১৫৬ পয়েন্টের পতনের সঙ্গে সেনসেক্স ৫২৮৬৩-র স্তরে লেনদেন শুরু করেছে। আর নিফটি ৭৬ পয়েন্টের ক্ষতির সঙ্গে ১৫৭০৪-এর স্তরে খুলে ব্যবসা শুরু করেছে। বাজার খোলার পর পতন দেখে বিনিয়োগকারীদের বিক্রির প্রবণতাই বেশি চোখে পড়ে। আর সকাল ৯টা ৩২ মিনিট নাগাদ দেখা যায় যে, সেনসেক্স ৪০০ পয়েন্ট কমে ৫২৬২৩-এর স্তরে পৌঁছেছে। আর ওই একই সময়ে নিফটি ১২০ পয়েন্ট ক্ষতির মুখ দেখে ১৫৬৫০-এর স্তরে পৌঁছয়।
advertisement
আরও পড়ুন - যা হচ্ছে, তার জন্য একক ভাবে দায়ী নূপুর শর্মা, তীব্র ভর্ৎসনা সুপ্রিম কোর্টের
এই সব স্টকে বিক্রিবাটার প্রভাব:
আজ সকালে ব্যবসার শুরু থেকেই টাইটান কোম্পানি (Titan Company), এমঅ্যান্ডএম (M&M), টাটা মোটরস (Tata Motors), বাজাজ অটো (Bajaj Auto), মারুতি সুজুকি (Maruti Suzuki), কোটাক ব্যাঙ্ক (Kotak Bank), ডক্টর রেড্ডিস (Dr Reddy’s) এবং এইচডিএফসি (HDFC)-র মতো কোম্পানিগুলির শেয়ার ব্যাপক ভাবে বিক্রি করেছে বিনিয়োগকারীরা, যার ফলে এই সব সংস্থার স্টকগুলি শীর্ষ লোকসানের তালিকায় চলে গিয়েছে।
এ-ছাড়াও সিপলা (Cipla), টেক মাহিন্দ্রা (Tech Mahindra), টিসিএস (TCS), পাওয়ার গ্রিড কর্পোরেশন (Power Grid Corp), অ্যাপোলো হসপিটালস (Apollo Hospitals), টেক এম (Tech M), ইনফোসিস (Infosys) এবং উইপ্রো (Wipro)-র মতো সংস্থাগুলির শেয়ার কেনা হয়েছে, যার ফলে এই স্টকগুলি শীর্ষ মুনাফাকারীর তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে। আবার আজকের ব্যবসায় বিএসই মিডক্যাপ এবং স্মলক্যাপের ক্ষেত্রেও ১.৩ শতাংশের বড় পতন লক্ষ্য করা গিয়েছে।
আরও পড়ুন - শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাবের এ বারের পুজোয় মহা চমক! খুঁটি পুজোয় ঘোষিত হল থিম
কোন সেক্টরে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে?
সেক্টরের ভিত্তিতে আজকের ব্যবসা বিচার করা হলে দেখা যাবে যে, নিফটি ব্যাঙ্ক, ফিনান্সিয়াল, অটো, ফার্মা এবং কনজিউমার ডিউরেবল সেক্টরের শেয়ারগুলির কারণেই আজ বড়সড় পতন দেখা গিয়েছে। তবে পতনের মধ্যেও এনার্জি এবং রিয়েলটি সেক্টরের শেয়ারের দাম বেড়েছে। আজ সকালে এশিয়ান পেন্টসের শেয়ারে ১.২ শতাংশের বড়সড় লাভ দেখা যাচ্ছে।
এশিয়ার বাজারে মিশ্র প্রবণতা:
আজ সকালে আবার এশিয়ার বাজারগুলিতে মিশ্র প্রবণতা দেখা গিয়েছে– কোথাও উর্ধ্বগতি, তো কোথাও বা পতন। শুক্রবার সকালে সিঙ্গাপুর স্টক এক্সচেঞ্জে ০.১৩ শতাংশ উত্থান হয়েছে। আবার অন্য দিকে জাপানের নিক্কেই ০.৪৯ শতাংশের ক্ষতিতে লেনদেন করছে। তাইওয়ানের বাজারেও ০.৫১ শতাংশ এবং দক্ষিণ কোরিয়ার কোস্পি-র ক্ষেত্রেও ০.০৯ শতাংশ পতন লক্ষ্য করা গিয়েছে। চিনের সাংহাই কম্পোজিটেও সামান্য পতন হয়েছে।