এমনকী কোটিপতিও হয়ে যেতে পারেন বিনিয়োগকারী। এমনই দাবি করছেন এক আর্থিক বিশেষজ্ঞ। তাঁদের বক্তব্য, প্রতিদিন ২০০ টাকা করে অর্থাৎ মাসে ৬০০০ টাকা বিনিয়োগ করলেই যথেষ্ট। আসলে এভাবে বছরে জমছে প্রায় ৭২০০০ টাকা। কিন্তু এই টাকাটা কোথায় বিনিয়োগ করা উচিত। পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড (পিপিএফ) না কি এসআইপি-র মাধ্যমে মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করলে লাভ বেশি হবে, সেটাই দেখে নেওয়া যাক।
advertisement
১৫ বছরের জন্য পিপিএফ-এ বিনিয়োগ: যাঁরা ঝুঁকি নিতে চান না, তাঁরা পিপিএফ-এর মতো সরকারি জায়গায় বিনিয়োগ করতে পছন্দ করেন। কারণ এটি একেবারেই ঝুঁকিবিহীন। আর মেয়াদ শেষে মিলবে রিটার্নও। আর সবথেকে বড় কথা হল, এই রিটার্ন কিন্তু সম্পূর্ণ রূপে করমুক্ত। প্রতি মাসে পিপিএফ-এ যদি ৬০০০ টাকা বিনিয়োগ করা হয়, তাহলে বছরে বিনিয়োগ হচ্ছে ৭২০০০ টাকা। নিয়মিত বিনিয়োগ করলে ১৫ বছরের মধ্যে এই পরিমাণটা ১৯ লক্ষ ৫২ হাজার ৭৪০ টাকায় গিয়ে ঠেকবে। ১৫ বছর হল পিপিএফ-এর ন্যূনতম ম্যাচিউরিটির সীমা।
২০ বছরের জন্য পিপিএফ-এ বিনিয়োগ: এই পরিমাণ বিনিয়োগ যদি পিপিএফ-এ ২০ বছর জন্য জমা রাখা হয়, তাহলে এই পরিমাণটা দাঁড়াবে ৩১ লক্ষ ৯৫ হাজার ৯৭৮ টাকা। তবে বিনিয়োগের মেয়াদ আরও ৫ বছর বাড়ালে মিলবে ৪৯ লক্ষ ৪৭ হাজার ৮৪৭ টাকা। অন্যতম নিরাপদ বিনিয়োগের এই মাধ্যমে সুদের হার প্রতি তিন মাস অন্তর নির্ধারণ করা হয়। বর্তমান সুদের হার ৭.১ শতাংশ। সেই অনুযায়ীই এই হিসেব করা হয়েছে।
এসআইপি মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ: প্রতি মাসে যদি এসআইপি মিউচুয়াল ফান্ডে ৬০০০ টাকা জমা করা হয়, তাহলে ২৫ বছরে এই বিনিয়োগের পরিমাণ হবে ৮০ লক্ষ ২৭ হাজার ৩৪২ টাকা। এখানে ১০% বার্ষিক হার অনুযায়ী গণনা করা হয়েছে। তবে বিনিয়োগের মেয়াদ বাড়িয়ে ৩০ বছর করলে রিটার্ন আসবে ১ কোটি ৩৬ লক্ষ ৭৫ হাজার ৯৫২ টাকা।
আরও পড়ুন, নিম্ন আদালতের রায়ে স্থগিতাদেশ, মোদি পদবী মন্তব্য মামলায় বড় স্বস্তি রাহুলের
আরও পড়ুন, সুস্থ-স্থিতিশীল বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, অবস্থার উন্নতি.. কথা বলছেন চিকিৎসকদের সঙ্গে
কীভাবে মিলবে ২ কোটি ১১ লক্ষ ৭৯ হাজার ৪৮৩ টাকা? বিশেষজ্ঞরা ১০ শতাংশ রিটার্নকে খুবই সামান্য বলে মনে করেন। বৈচিত্র্যময় তহবিলের ক্ষেত্রে ১২% রিটার্ন পাওয়া যেতে পারে। এই হার অনুযায়ী, ২৫ বছরে এই পরিমাণ দাঁড়াবে ১ কোটি ১৩ লক্ষ ৮৫ হাজার ৮১১ টাকা। আর ৩০ বছরে এই টাকা বেড়ে দাঁড়াবে ২ কোটি ১১ লক্ষ ৭৯ হাজার ৪৮৩ টাকা।