আরও পড়ুন: পেট্রোল-ডিজেলের নতুন রেট জারি, আপনার শহরে কত টাকায় মিলছে জ্বালানি
মাইক্রো-ইনভেস্টিং ধারণার উপর ভিত্তি করে কাজ করে এই ফিনটেক অ্যাপগুলো। শুধু স্মার্টফোনে ডাউনলোড করে নিতে হবে। তারপর থেকে ব্যবহারকারীর সমস্ত খরচখরচায় নজরদারি চালাবে এই অ্যাপ্লিকেশন। গ্রাহক যখনই খাবার, পোশাক বা অন্য কোনও কিছু কিনতে যাবেন তখনই অল্প টাকা বিনিয়োগ করার জন্য ‘চাপ’ দেবে অ্যাপগুলো। অনেকটা অ্যালার্মের মতো।
advertisement
কীভাবে কাজ করে? এই ফিনটেক অ্যাপে একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ ঠিক করা থাকে। একে ‘রাউন্ডঅফ অ্যামাউন্ট’ বলা হয়। সেটা ১০ টাকা, ৫০ টাকা, ১০০ টাকা বা তার বেশি হতে পারে। অ্যাপ কী অফার করছে এবং বিনিয়োগকারী কোনটা বেছে নিচ্ছেন, সেই অনুযায়ী ঠিক হবে ‘রাউন্ডঅফ অ্যামাউন্ট’।
আরও পড়ুন: ফের ৫৩ হাজার টাকা পেরিয়ে গেল সোনা, দেখে নিন আজ ১০ গ্রামের দাম কত কলকাতায়
এবার বিনিয়োগকারী যখনই ডেবিট কার্ড বা নেট ব্যাঙ্কিংয়ের মাধ্যমে কিছু কেনার জন্য টাকা খরচ করেন, তখনই সক্রিয় হয়ে ওঠে অ্যাপ। এইমাত্র ব্যয় করা টাকার পরিমাণ এবং রাউন্ডঅফ অ্যামাউন্টের মধ্যে পার্থক্য গণনা করে। ধরা যাক, কোনও রেস্তোরাঁয় খেতে গিয়ে ১০৮০ টাকা বিল হল। এখন এর কাছাকাছি রাউন্ডেড অফ অ্যামাউন্ট ১১০০ টাকা। এখন এই ‘বেঁচে যাওয়া’ ২০ টাকা অ্যাপে উপলব্ধ কোনও আর্থিক সম্পদে বিনিয়োগ করতে বলবে অ্যাপ।
নিয়ো-তে এই সুবিধা পেতে অ্যাপটা ইনস্টল করার পর ‘নিয়োএক্স’ সেভিংস অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। নেট ব্যাঙ্কিং, ডেবিট কার্ড এবং ইউপিআই-এর মাধ্যমে সেভিংস অ্যাকাউন্ট থেকে যাবতীয় লেনদেন ট্র্যাক করবে ব্যাঙ্ক। সঙ্গে এখান থেকেই মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগও করা যাবে। তবে যে চাইলে কোনও সময় মিউচুয়াল ফান্ডের স্কিম পরিবর্তন করা যাবে। এই প্রসঙ্গে নিয়োর স্ট্র্যাটেজি হেড স্বপ্নিল ভাস্কর বলছেন, ‘বিনিয়োগকারী যে কোনও সময় ‘সেভ দ্য চেঞ্জ’ অপশনে গিয়ে মিউচুয়াল ফান্ডের স্কিম পরিবর্তন করতে পারেন’।
আরও পড়ুন: ১ লাখ বেড়ে ৭১ লাখ! আপনার কাছে আছে নাকি এই বাম্পার শেয়ার?
নেট ব্যাঙ্কিং, ইউপিআই, ডেবিট কার্ড লিঙ্কের সাহায্যে খরচের ট্যাক করে অ্যাপ্রিসিয়েট। এই অ্যাপে ন্যূনতম ডিফারেনসিয়াল ১০ টাকা। জার অ্যাপে আরও কম। এখানে ন্যূনতম ডিফারেনসিয়াল ৫ টাকা। জার অ্যাপের মাধ্যমে ডিজিটাল সোনায় বিনিয়োগ করা যায়।