অনন্ত বলেন, “আমার শ্রদ্ধেয় ঠাকুরদা ধীরুভাই আম্বানির একটি স্বপ্ন ছিল। তিনি একটি শোধনাগার তৈরি করতে চেয়েছিলেন যা হবে বিশ্বের সেরা। ২৫ বছর আগে, আমার ঠাকুরদার জীবদ্দশাতেই তাঁর এই স্বপ্ন পূর্ণ করেছিলেন আমার বাবা শ্রী মুকেশ আম্বানি।” তাঁর ঠাকুরদা এবং বাবা দু’জনের অমূল্য ঐতিহ্যের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি বলেন, “আজ আমি কৃতজ্ঞ। আমি কৃতজ্ঞ যে আমি এমন দুই মহান ব্যক্তির অমূল্য ঐতিহ্য লাভ করেছি।”
advertisement
তাঁর বাবার কাছে প্রতিশ্রুতি দিয়ে অনন্ত বলেন, “এই পবিত্র দিনে, আমি শপথ নিচ্ছি এবং আমার বাবাকে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি যে আমি জামনগরের সঙ্গে জড়িত সমস্ত স্বপ্ন পূরণ করব।” বন্যপ্রাণীদের প্রতি তাঁর আবেগ ও ভালবাসার কথাও বলেন অনন্ত। উল্লেখ করেন এ ক্ষেত্রে তিনি তাঁর মায়ের দ্বারা অনুপ্রাণিত। বনতারা উদ্যোগের মাধ্যমে বন্যপ্রাণীদের কল্যাণে রিলায়েন্সের প্রতিশ্রুতিও তুলে ধরেছেন।
অনন্ত বলেন, “আরও একটা কথা, আমার মা যেভাবে আমাকে পশু-পাখিকে ভালবাসতে শিখিয়েছেন, একইভাবে বনতারা থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে আমি আপনাদের অনুরোধ করছি সব প্রাণীকে ভালবাসতে”। “বনতারা প্রমাণ করেছে যে রিলায়েন্স মানুষের যত্ন নেওয়ার মতো পশু-পাখিরও যত্ন নেয়। বনতারা হল রিলায়েন্সের উই কেয়ার দর্শনের একটি জীবন্ত উদাহরণ।” সংযোজন মুকেশপুত্রের।
আরও পড়ুন : ‘জামনগর আমাদের হৃদয়ে রয়েছে’, শোধনাগারের ২৫ তম বর্ষপূর্তিতে বললেন নীতা আম্বানি
ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে, অনন্ত আস্থা প্রকাশ করেছেন যে জামনগর শোধনাগারটি উন্নতি লাভ করবে। তিনি বলেন, “আমি নিশ্চিত যে আজ থেকে ২৫ বছর পরে, যখন ভারতের স্বাধীনতার শতবর্ষ উদযাপিত হবে, আমরা জামনগরের গর্বকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাব।”
আরও পড়ুন : ‘পশু-পাখিকে ভালবাসুন!’ জামনগরে মন ছুঁয়ে যাওয়া বার্তা জানালেন অনন্ত আম্বানি!
প্রসঙ্গত রিলায়েন্সের জামনগর শোধনাগারের উদ্বোধন করা হয়েছিল ১৯৯৯ সালের ২৮ ডিসেম্বর। সংস্থার ইতিহাসে একটি বড় মাইলফলক চিহ্নিত করে এই শোধনাগার৷ বছরের পর বছর ধরে, শোধনাগারটি বিশ্বের বৃহত্তম পরিশোধন ইউনিটগুলির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বিকশিত হয়েছে।