চলতি বছরের জানুয়ারিতে এক্সে মনডে মোটিভেশন হ্যাশট্যাগে একটি পোস্ট করেছিলেন আনন্দ মাহিন্দ্রা। তিনি তখন ছোট। ব্যাকফ্লিপ শেখার চেষ্টা করছেন। কিন্তু কিছুতেই পারছেন না। তাঁর মনে হয়েছিল, “এ আমার দ্বারা হবে না।“ কিন্তু প্র্যাকটিসের কোনও বিকল্প নেই। একদিন ব্যাকফ্লিপ ঠিকই আয়ত্ত করে নেন। আনন্দ মাহিন্দ্রার কথায়, “শুরুতে অসম্ভব মনে হলেও সঠিক পদ্ধতি আর অনুশীলনের মাধ্যমে সব কিছুই অর্জন করা সম্ভব।“
advertisement
আরও পড়ুন– কেউটে সাপের মুখে পড়লে কী করবেন? মাথা ঠান্ডা রেখে এই কাজ করতে পারলে তবেই প্রাণে বাঁচবেন
কয়েকদিন আগের কথা। সপ্তাহে কত ঘণ্টা কাজ করা উচিত, তা নিয়ে জোর বিতর্ক শুরু হয়েছিল। কেউ বলেন ৮০ ঘণ্টা তো কেউ আরও এক ধাপ এগিয়ে ১২০ ঘণ্টা কাজের পক্ষে সওয়াল করেন। এঁরা প্রত্যেকেই সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তি। কেউ বড় ব্যবসায়ী, কেউ শিল্পপতি। আনন্দ মাহিন্দ্রা এখানেও ব্যতিক্রমী। তাঁর মতে, কত ঘণ্টা কাজ করছেন সেটা বড় কথা নয়, কী কাজ হচ্ছে, তার প্রভাব কেমন পড়ছে, সেটাই আসল। আনন্দর নিজের কথায়, “কোয়ান্টিটি নয়, কোয়ালিটিতে নজর দেওয়া উচিত ৷’’
কিন্তু শুধু কাজই কী জীবন? মোটেই নয়। আনন্দ মহিন্দ্রা পরিপূর্ণ জীবনের কথা বলেন। সেখানে শিল্প থাকবে, সংস্কৃতি থাকবে। এতে কী হবে? সিদ্ধান্ত নিতে সুবিধা হবে। বলা ভাল, সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে। আনন্দ মাহিন্দ্রার কথায়, “মস্তিষ্ক সক্রিয় রাখতে হবে, আর সেটা তখনই সম্ভব যখন আপনি শিল্প সংস্কৃতি সম্পর্কে অবগত থাকবেন। তাহলে সঠিক এবং কার্যকরী সিদ্ধান্তও নিতে পারবেন।’’
আরও পড়ুন– সানরাইজার্সে ম্রিয়মান, লখনউতে দ্যুতি ছড়াচ্ছেন, ঠিক কী হয়েছে আবদুল সামাদের?
কাজ ও ব্যক্তিগত জীবনের মধ্যে ভারসাম্য রাখার কথাও বলেন আনন্দ মাহিন্দ্রা। পরিবারের সঙ্গে ভাল সময় কাটানোর পরামর্শ দেন। তাঁর মতে, এতে সৃজনশীলতা এবং নেতৃত্ব গুণের বিকাশ হয়। “সারাক্ষণ অফিসে কাটালাম, পরিবারকে সময় দিলাম না, তাহলে মানুষ কী চায় বুঝব কী করে!” একটি অনুষ্ঠানে এ কথা বলেছিলেন শিল্পপতি।
সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি অ্যাকটিভ, তবে সামাজিক যোগাযগমাধ্যমকে তিনি দেখেন ‘বিজনেস টুল’ হিসেবে। আনন্দ মাহিন্দ্রার বক্তব্য, “একটা কথা স্পষ্ট করে দিতে চাই – একাকীত্বের কারণে আমি এক্সে নেই, আমার স্ত্রী রয়েছেন, তাঁর সঙ্গে সময় কাটাই। এখানে আমি বন্ধু বানানোর জন্য আসিনি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যে কী অসম্ভব শক্তিশালী বিজনেস টুল, সেটা মানুষ বোঝে না। একটা প্ল্যাটফর্ম থেকেই আমি ১১ মিলিয়ন মানুষের ফিডব্যাক পাই।’’