শুধু তাই নয়, আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলিজেন্সই আগামীদিনে ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মূল চালিকাশক্তি হয়ে উঠবে বলেও বিশ্বাস করেন আকাশ। জিও ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে আয়োজিত মুম্বই টেক উইকে তিনি বলেন, “এআই এমন একটা ইঞ্জিন যা দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে ১০ শতাংশ বা দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে।”
advertisement
আপনার প্রস্রাবে কি ‘ফেনা’ হয়? শরীরে কী হয়ে আছে জানেন…? এড়িয়ে গেলে কী বিপদ হবে? জেনে নিন!
এআই বিভিন্ন খাতে বিপ্লব ঘটানোর ক্ষমতা রাখে। তবে আন্তর্জাতিক দুনিয়ায় ভারতকে ‘এআই গুরু’ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে হলে ৩টি ক্ষেত্রে বিশেষ নজর দিতে হবে বলে মনে করেন আকাশ আম্বানি। পরিকাঠামো, গবেষণা ও উন্নয়ন এবং প্রতিভায় বিনিয়োগ। তাঁর কথায়, “আমাদের এআই পরিকাঠামো এবং এমন ডেটা সেন্টারে বিনিয়োগ চালিয়ে যেতে হবে যা কোটি কোটি ইউজারকে পরিষেবা দিতে সক্ষম। জিও ইতিমধ্যেই সেই কাজ করছে।” সম্প্রতি জামনগরে জিওর ঘোষিত গিগাওয়াট-ক্ষমতাসম্পন্ন AI ডেটা সেন্টারের প্রসঙ্গে তিনি এই মন্তব্য করেন।
মাছ নয়, ‘মহৌষধ’! ভাজা করে খেলেই রক্ত থেকে নিংড়ে বেরোবে ‘Sugar’! ভিটামিন ‘ডি’ ভরপুর…কমায় ক্যানসার!
গবেষণা ও উন্নয়নের উপর বিশেষ জোর দেন আকাশ আম্বানি। তিনি বলেন, “এআই ভিত্তিক গবেষণা ও উদ্ভাবনে আমরা ধারাবাহিক বিনিয়োগ করছি।” পাশাপাশি প্রতিভা বিকশিত করার প্রয়োজনীয়তার কথাও উল্লেখ করেন, “জিওতে ইতিমধ্যেই ১,০০০-এর বেশি ডেটা সায়েন্টিস্ট, গবেষক ও ইঞ্জিনিয়ারদের নিয়ে একটি শক্তিশালী এআই টিম তৈরি করা হয়েছে। নতুন ভাবনা ও উদ্ভাবনী ক্ষমতাকে বিস্তৃত করাই মূল লক্ষ্য।”
আকাশ জানান, ভারত খুব শিগগিরই এমন এক যুগান্তকারী এআইপ্ল্যাটফর্ম চালু করতে চলেছে, যা ৫০ কোটিরও বেশি মানুষের জীবনে পরিবর্তন আনবে। ভারতের প্রযুক্তিগত অবস্থান নিয়ে প্রচলিত ধারণাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আকাশ আম্বানি আরও বলেন, “ভারত আর পিছিয়ে নেই, বরং আমরা এখন বিশ্বের সর্বোচ্চ ডেটা ব্যবহারকারী দেশ, এমনকি চীনকেও ছাড়িয়ে গিয়েছি।”
২০১৫ সালের আগে দেশে ইন্টারনেটের স্পিড কতটা ‘স্লো’ ছিল, আর এখন কোথায় পৌঁছেছে, এদিন সে কথাও মনে করিয়ে দেন আকাশ। তিনি বলেন, “ইন্টারনেট স্পিড ১ এমবিপিএস-এরও কম ছিল। কিন্তু আজ সবাই হাই স্পিড ডেটা ব্যবহার করতে পারছেন।” এআই-এর ক্ষেত্রেও একইভাবে সাফল্য অর্জন করা সম্ভব হবে বলেই তাঁর বিশ্বাস।