এর আগে সরকারের নিয়ন্ত্রাধীন থাকা অবস্থায় ওই সব প্লেনের সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ ও অতিরিক্ত যন্ত্রাংশের অভাবে এয়ার ইন্ডিয়ার বেশ কিছু ফ্লাইটকে বাতিল ঘোষণা করা হয়। সম্প্রতি এয়ার ইন্ডিয়ার উদ্যোগে ও টাটাদের (Tata Group) প্রয়োজনীয় বিনিয়োগের কারণে পুরনো ফ্লাইটগুলিকে মেরামত করে আবার আকাশে ফিরিয়ে আনা হবে।
আরও পড়ুন- সূর্যের প্রবেশ সিংহ রাশিতে, সংক্রান্তির এই গোচরে ভাগ্য কি খুলছে আপনারও?
advertisement
এই এয়ারলাইনটি নতুন ওয়াইড বডি এয়ারক্রাফট, এয়ারবাস A350-এর জন্য একটি মেগা অর্ডারও দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে। এতে এক দিকে যেমন ওয়েস্ট মেটেরিয়ালের সংখ্যা কমবে, তেমনই এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইটের সংখ্যাও বাড়বে।
এয়ারলাইনের কাছে প্রায় ৭০টি ন্যারো বডির প্লেন রয়েছে যার মধ্যে ৫৪টি বর্তমানে পরিষেবা দেওয়ার যোগ্য। বৃহস্পতিবার এয়ার ইন্ডিয়া মারফত জানানো হয়েছে যে, বাকি ১৬টি ২০২৩ সালের প্রথম দিকে ধীরে ধীরে পরিষেবাতে ফিরিয়ে আনা হবে। একই ভাবে, এয়ার ইন্ডিয়া ওয়াইডবডির সংখ্যা বর্তমানে ৪৩টি যার মধ্যে ৩৩টি চালু রয়েছে। বিমানসংস্থা গত রবিবারই জানিয়েছে যে, বর্তমানে তারা ২৮টি এয়ারলাইন পরিচালনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, অবশিষ্ট ফ্লাইটগুলি ২০২৩ সালের প্রথম দিকে ধীরে ধীরে পরিষেবাতে ফিরিয়ে আনা হবে।
আরও পড়ুন- পুরনো হয়ে গিয়েছে ঝাঁটা! বাতিল করার আগে সাবধান, পরিবারে নেমে আসতে পারে বিপর্যয়
বর্তমানে টাটা গ্রুপের অধিগ্রহণের পরবর্তীতে উৎপাদক সংস্থা বোয়িং (Boeing) এয়ার ইন্ডিয়ার সঙ্গে মিলে কাজ করছে। কোভিড-১৯ মহামারী ও অন্যান্য কারণে দীর্ঘ সময়ের জন্য বসে যাওয়া ফ্লাইটগুলি আবার পুনরুদ্ধার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ইতিমধ্যেই এই ফ্লাইটগুলির গ্রহণযোগ্যতা বিচার করে এগুলিকে এয়ার ইন্ডিয়ার সময়সূচী অনুযায়ী উড়ানের ঘোষণা করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ আগামী মাসগুলিতে আরও ফ্রিকোয়েন্সি এবং নেটওয়ার্ক বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছে।
এয়ার ইন্ডিয়ার এমডি-সিইও ক্যাম্পবেল উইলসন (Campbell Wilson) সম্প্রতি জানিয়েছেন যে, “গত ছয় মাস ধরে (টাটা এয়ার ইন্ডিয়াকে নেওয়ার পর থেকে), এয়ার ইন্ডিয়ার পুরনো ও বাতিল বিমানগুলিকে পরিষেবাতে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য বোয়িং আমাদের সঙ্গে পার্টনারশিপে ঘনিষ্ঠ ভাবে কাজ করছে এবং আমরা আনন্দিত যে এই প্রচেষ্টা বর্তমানে ফল দিতে চলেছে।’’