নিয়ামতপুরের কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের ইনচার্জ ড. এনসি ত্রিপাঠী বলেন, কৃষকরা যদি এখন অড়হর বা উরদ ডালের চাষ করেন, তাহলে খুব কম খরচে ভাল লাভ পেতে পারেন। তা ছাড়া উরদ চাষ করলে মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি পায়। এর শিকড়ে রাইজোবিয়াম পাওয়া যায়, যা মাটির স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। ৮৫ থেকে ৯০ দিনে উরদ ডাল পাকে।
advertisement
বীজ বপনের সময় বিশেষ যত্ন: উরদ ডালের বীজ বপন করার আগে সঠিক আর্দ্রতা বজায় রেখে ভালভাবে ক্ষেত প্রস্তুত করতে হয়। লাঙল দেওয়ার সময় প্রতি হেক্টর জমিতে ১০০ কেজি সিঙ্গল সুপার ফসফেট এবং ৪০ কেজি পটাসিয়াম ক্লোরাইড মিশিয়ে দিতে হবে। তারপর ক্ষেত সমতল করে রোপণ করতে হবে বীজ।
বীজ রোপণের সময় খেয়াল রাখতে হবে, প্রতিটা লাইনের মধ্যে যেন ৪০ সেমি দূরত্ব থাকে। দুটি গাছের মধ্যে ১৫ সেমি-র ব্যবধান থাকবে। ১ কেজি বীজ শোধন করতে ২.৫ গ্রাম কার্বেনডাজিম ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়। বীজ শোধন করলে ফসলে রোগবালাই হবে না। ভাল মানের ফলন হবে। এক একরে ১০ থেকে ১২ কেজি বীজ ব্যবহার করা উচিত।
ভাল বীজ চয়ন: উরদ বপনের সময় ভাল মানের বীজ চয়ন করা গুরুত্বপূর্ণ। ড. এনসি ত্রিপাঠি বলেন, কৃষকরা যদি অল্প সময়ে ভাল ফলন পেতে চান, তাহলে উরদের PU-30, PU-31, PU-35 এবং PU-41 জাতের বীজ বপন করতে হবে।
সেচের যত্ন: ড. এনসি ত্রিপাঠি বলেন, উরদ বপনের ২৫ থেকে ৩০ দিন পরে সেচ দিতে হবে, পরবর্তী সেচ ১০ থেকে ১৫ দিনের ব্যবধানে করা যেতে পারে। খেয়াল রাখতে হবে, জমিতে পর্যাপ্ত আর্দ্রতা থাকা অবস্থায় আগাছা যেন না জন্মায়। মাটিতে বাতাস চলাচল করতে পারে। তবেই উরদের ফলন ভাল হবে।