এই গমের বীজ বপনের উপযুক্ত সময় হল কার্তিক মাসের শেষ থেকে অগ্রহায়নের তৃতীয় সপ্তাহ বা নভেম্বর মাসের ১৫ থেকে ৩০ তারিখ পর্যন্ত। এই গমের জাতের মধ্যে অন্যতম হল কাঞ্চন, আকবর, প্রতিভা ,সৌরভ, সোনালিকা বিভিন্ন জাতের গম। এই গম চাষের জন্য উঁচু ও মাঝারি দোআঁশ মাটি ভীষণ উপযোগী। লবণাক্ত মাটিতে গমের ফলন কম হয়। গমের ভালো ফলন পাওয়ার জন্য জমি চাষ করার সময় জমিতে জৈব সার প্রয়োগ করা প্রয়োজন।
advertisement
আরও পড়ুন: QR কোড জালিয়াতি; পেমেন্টের জন্য স্ক্যান করছেন? কখন ঠকে যাবেন দেখুন
উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ ,ইটাহার, রায়গঞ্জ সহ বিভিন্ন ব্লকে এই গমের চাষ করা হয়। কৃষিবিদ রাধিকারঞ্জন দেবভূতি জানান, উত্তর দিনাজপুর জেলার কমবেশি অনেক ব্লকেই গমের উৎপাদন হয়। ভাতের পরেই দ্বিতীয় শস্য হিসেবে ব্যবহার করা হয় গম। তবে এই গম উৎপাদনের জন্য সময়মতো সেচ দেওয়াটা ভীষণ দরকারি।
আরও পড়ুন: বাড়ির দাম কি আবার কমবে ? ২০২৪ সালের জন্য হাউজিং মার্কেটের পূর্বাভাস কী বলছে?
সঠিক সময় সেচ দিলে তবেই ভালো ফলন হবে গমের। কৃষিবিদ রাধিকা বাবু আরও জানান গম চাষের জন্য কুড়ি থেকে বাইশ দিনে প্রথম সেচ দিতে হবে। ও সেচ দেওয়ার একদিন পরেই ৬ থেকে ৭ কেজি ইউরিয়া ,চাপান সার দিতে হবে জমিতে। তাতে গমের ফলন ভালো হবে। এরপর দ্বিতীয় সেচ দিতে হবে ৪০ থেকে ৪৫ দিনে । ঠিক একই ভাবে সেচ দেওয়ার একদিন পরেই ইউরিয়া ও চাপান সার দিতে হবে।
তবে সব সময় মাথায় রাখবেন সেচ দেওয়ার পরেই জমিতে সার দেবেন। তার আগে ভুলেও জমিতে সার এর প্রয়োগ করবেন না। না হলেই গমের ক্ষতি হবে এবং ভালো ফলন পাবেন না। তবে গম চাষের সময় মাথায় রাখতে হবে সময় মতো আগাছা নিয়ন্ত্রণ করা। গমের খেতে দূর্বা , বথুয়া বিভিন্ন ধরনের আগাছা জন্মায় এই আগাছা গুলোকে তুলে ফেলে দিলে তবেই গমের গাছ বৃদ্ধি পায়।এই রকম কিছু কিছু বিষয় মেনে গম চাষ করলে ভালো গমের উৎপাদন হবে।
পিয়া গুপ্তা