২০২৪ সালে পাহাড়ে আদা চাষের জমির পরিমাণ ১২০০ হেক্টর থাকলেও এ বছর তা নেমে এসেছে ৮৫০ হেক্টরে। জলপাইগুড়ির মোহিতনগরে কৃষি দফতরের এক অনুষ্ঠানে এসে কালিম্পং জেলার উপ কৃষি অধিকর্তা জেমস লেপচা জানান, “গত বছর জুলাই-অগাস্টে প্রবল বৃষ্টির সঙ্গে রোদে আদা গাছে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে। প্রায় ৪০০ হেক্টরের চাষের ক্ষতি হয়। আমরা চেষ্টা করছি কীভাবে ফাংগাল ডিজিস নিয়ন্ত্রণে আনা যায়।”
advertisement
আরও পড়ুন: বর্ষার মরসুমে মৌমাছি পালনে মেনে চলতে হবে বিশেষ কয়েকটি জিনিস ! তবে লাভ আসবে প্রচুর
তিনি আরও জানান, পাহাড়ে আদা ছাড়াও এলাচ, দারচিনি, ঝাড়ু ও গোলমরিচের মতো ফসল ভাল হয়। কিন্তু বারবার ফাংগাল রোগের দাপটে আদা চাষ মার খাচ্ছে। তবে আগামী মরশুমে আবহাওয়া অনুকূল থাকলে ফের ১৫০ হেক্টর জমি বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে।
অন্যদিকে সমতলে জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়ির খাগড়াবাড়ি ২ নম্বর পঞ্চায়েতে ঠিক বিপরীত ছবি। পঞ্চায়েতের সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট প্রকল্পে তৈরি জৈব সার ব্যবহার করে ফাঁকা জমিতে আদা চাষ করে সাফল্য পেয়েছেন চাষিরা।
পঞ্চায়েত প্রধান বাবলু রায় জানান, “প্রায় ৩ হাজার চারা রোপন করে আমরা গাছগুলি বড় করেছি। গাছে কোনও বড় ধরনের রোগ হয়নি। ফলনও ভাল হচ্ছে।” তাই একদিকে যখন আদা চাষ দেখাচ্ছে পাহাড়ে হতাশা, আর সমতলে সেই চাষ করেই চাষিরা দেখছেন আশার আলো—একই ফসল, দুই ছবি। কৃষিক্ষেত্রে এই বৈপরীত্যই আর্থিক সফলতার পথ দেখাচ্ছে সমতলকে।
সুরজিৎ দে