অন্য বছরের তুলনায় এবারে বর্ষার প্রকোপ অনেকটাই বেশি। এর ফলে পাটগাছের গোড়ায় স্থায়ীভাবে জল জমে থাকছে। ইতিমধ্যে অনেক জায়গায় গোড়ায় পচন ধরার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে, যা গাছের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ব্যাহত করছে। স্থানীয় কৃষকদের বক্তব্য, বর্ষা যদি এমন এক মাস পরে আসত, তাহলে পাট জাঁক দেওয়ার উপযুক্ত সময়ে সেই জল তাদের কাজে আসত।
advertisement
আরও পড়ুন: পোস্ট অফিসের PPF-এ বছরে ৫০ হাজার টাকা রাখলে ম্যাচিউরিটিতে কত পাবেন ?
কিন্তু এখন এই অসময়ে বৃষ্টির জেরে বিপাকে পড়েছেন তাঁরা। তাঁদের অভিযোগ, আগে থেকেই যদি নালা-নর্দমাগুলির সঠিক সংস্কার ও জল নিষ্কাশনের ব্যবস্থা থাকত, তবে এতটা ক্ষতি হত না। বিশেষ করে নীচু জমিগুলোতে জল দাঁড়িয়ে থাকায় চাষ পুরোপুরি নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা।
আরও পড়ুন: সোনার দাম কি সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে? এবার কি তাহলে দাম কমার পালা ? জেনে নিন
একাধিক কৃষক জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে বেশ কিছু জমিতে গাছ হলুদ হয়ে শুকিয়ে যেতে শুরু করেছে। অনেকে আবার পাট কাটার আগেই গাছ তোলার কথা ভাবছেন, যাতে কিছুটা হলেও পাট সংরক্ষণ করা যায়। পাট রাজ্যের অন্যতম অর্থকরী ফসল হলেও, আবহাওয়া ও পরিকাঠামোগত সমস্যার কারণে কৃষকেরা ক্রমাগত ক্ষতির মুখে পড়ছেন।
অথচ সঠিক পরিকল্পনা ও সরকারিভাবে সহযোগিতা পেলে এই শিল্পে ফের চাঙ্গা হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। এই পরিস্থিতিতে কৃষকদের দাবী, অবিলম্বে ব্লক ও জেলা প্রশাসনকে মাঠ পর্যায়ে নামিয়ে বাস্তব পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হোক। তাঁরা চান, ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের ক্ষতিপূরণ, বিনামূল্যে বীজ ও প্রযুক্তিগত সহায়তা দেওয়া হোক, যাতে ভবিষ্যতে চাষে উৎসাহ ফিরে আসে।
জুলফিকার মোল্যা