প্রটেক্টেড কাল্টিভেশনের হাত ধরে সাধারণ মানুষ পাবেন মোটা অঙ্কের সরকারি অনুদান। এই অনুদান ব্যবহৃত হবে টিউবিইউলার স্ট্রাকচার বসানোর জন্য। বাঁকুড়া জেলার উদ্যান পালন দফতরের অধীনে ইতিমধ্যেই প্রটেক্টেড কাল্টিভেশনের সুবিধা নিচ্ছেন একাধিক আগ্রহী। মূলত ফুল, অর্কিড, জারবেরা ফুল ক্যাপসিকামের চাষ হয় এই পদ্ধতিতে।
advertisement
টিউবিউলাস স্ট্রাকচার দুই ধরনের, বাঁশ দিয়ে বানানো এবং জিআই পাইপ দিয়ে বানানো। বাঁশের বানানো অস্থায়ী টিউবিউলার স্ট্রাকচার বানাতে প্রতি ২০০ স্কয়ার মিটারে প্রায় ৪৫ হাজার (৫০%) টাকার অনুদান পাওয়া যাবে। যদিও বাঁশের বানানো অস্থায়ী টিউবিউলাস স্ট্রাকচার বেশিদিন টেকে না। দ্বিতীয়ত জি আই পাইপ দিয়ে টিউবিউলার স্ট্রাকচার বানাতে গেলে প্রতি স্কোয়্যার মিটারে ৫৩০ টাকা সরকারি অনুদান পাওয়া যাবে। জিআই পাইপ দিয়ে বানানো টিউবিউলার স্ট্রাকচার ৮-১০ বছর পর্যন্ত স্থায়ী হয়।
বাঁকুড়া উদ্যানপালন দফতরের সহযোগিতায় এই যোজনার অধীনে আসতে পারেন যে কেউ। ইতিমধ্যেই বাঁকুড়া জেলার খাতড়ায় এবং ইন্দপুরে শুরু হয়েছে প্রোটেকটেড চাষ। এ বিষয়ে বাঁকুড়ার ডেপুটি ডিরেক্টর অফ হটিকালচার কৃষ্ণেন্দু নন্দন জানান, 'সঠিক পদ্ধতি মেনে যদি কৃষক চাষ করতে পারে তাহলে এই ধরনের পলি হাউস বা সেড নেটের খরচ দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে উঠে আসে।' অর্থাৎ পলি হাউস বা সেডনেটের মাধ্যমে তৈরি হতে পারে স্থায়ী সচ্ছল ব্যবসা।
এই যোজনায় নাম লেখাতে গেলে নিকটবর্তী উদ্যান পালন দফতরে অথবা পঞ্চায়েত সমিতি থেকে ফর্ম নিয়ে ফিলাপ করতে হবে। কোনও সমস্যা হলে নিকটবর্তী উদ্যানপালন দফতরে যোগাযোগ করতে হবে। এপ্লিকেশন করতে যে প্রয়োজনীয় নথি গুলি প্রয়োজন সেগুলি হল ভোটার কার্ড, আধার কার্ড, পাসপোর্ট সাইজ রঙিন ছবি, ব্যাংকের পাস বই এর প্রথম পাতা, চেক বই এবং জমির কারেন্ট পর্চার জেরক্স।
Nilanjan Banerjee