আরও পড়ুনঃ ‘আইফিনান্স’ অ্যাপ চালু করল আইসিআইসিআই, যে কোনও ব্যাঙ্কের সমস্ত অ্যাকাউন্ট এক ছাদের তলায়
সারা বছর অপেক্ষার পর পুজোয় বাজারে ফুলের চাহিদা বেড়ে উপার্জন বৃদ্ধি পায়। তাই, কম বেশি সকলে পুজোর বাজারের আশায় অপেক্ষায় থাকেন সারা বছর। আশা হত হাওড়ার বাগনান ব্লকের কয়েকশো পদ্ম চাষি। বাগনানে বিজ্ঞানসম্মত ভাবে পদ্মের চাষ শুরু হয়েছিল কয়েক বছর আগে। জানা যায়, কেন্দ্রীয় প্রজেক্টের আওতায় বাগনান ব্লকের নিচু জমি গুলিতে যেখানে ধান চাষ অলাভজনকসেখানে পদ্মের চাষ হতে পারে লাভজনক। পরীক্ষামূলকভাবে সফলতা পেয়ে, গত তিন বছরে কয়েকশ চাষি নতুন স্বপ্ন নিয়ে পদ্ম চাষ শুরু করেছিল।
advertisement
গত দু-তিন বছর পদ্ম ফুটিয়ে কিছুটা লাভের মুখ দেখেছে পদ্ম চাষিরা। ফলে এবার আরও বেশি করে পদ্ম চাষে নামে চাষিরা। কিন্তু একের পর এক বাধা পদ্ম চাষে। শুরুতে বৃষ্টির অভাব, ফলে সময় মত চারা গাছ রোপন করা বেশ কঠিন হয়ে পড়ে। তবে অধিক খরচ করে পদ্ম চারা রোপন করেন চাষিরা। কিন্তু এবার শুরুতে বৃষ্টির ঘাটতি হলেও বর্ষার শেষ সময় অতিবৃষ্টি পদ্মের গাছ ডুবে ক্ষতি। ফলে পদ্মের আমন বা কুড়ির দেখা নেই। সর্ব শেষে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় হিম। হিম পড়তে শুরু করলে পদ্ম ফুল ফোটা বন্ধ হয়।
এ প্রসঙ্গে পদ্ম চাষি উত্তম মান্না ও শ্রীকান্ত বাগ জানান, এবার প্রকৃতির খামখেয়ালির কারণে দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত পদ্ম চাষিরা। অনেকেই ঋণ নিয়ে চাষ করেছে, পদ্ম খেতে ফুল ফোটেনি। যে উৎসাহ নিয়ে কৃষকরা পদ্ম চাষের নেমেছিল, সেই উৎসাহ আর আগের মত থাকবে না। বছর তিনেক আগে বাগনান ব্লকের বাগনান, দুর্লভপুর, নজরপুরে পরীক্ষামূলক পদ্ম চাষের সফলতা দেখে দারুণভাবে আগ্রহ বেড়েছিল চাষিদের। বলা যেতে পারে, এবার যে সমস্যা তার জন্য মোটেও কৃষকরা তৈরি ছিল না। পদ্ম চাষে যে দারুণ উৎসাহ চাষিদের সেই উৎসহে কিছুটা ভাটা পড়তে পারে আগামীতে।
রাকেশ মাইতি