আগামী অর্থবর্ষ থেকে চাকরিজীবী শ্রেণীকে কর দেওয়ার জন্য দু'টি বিকল্প দেওয়া হয়েছে। কেউ পুরনো ব্যবস্থায় কর দিতে পারেন অথবা ৮০ সি, ৮০ ডি ডিডাকশন, এইচআরএ, এলটিএ ছাড়ের সুবিধে পেতে নতুন কর ব্যবস্থায় আবেদন করতে পারেন। নতুন ব্যবস্থায় করের হার পুরনোর থেকে কম।
তবে উভয় আয়কর ব্যবস্থাতেই ১৯৬১ সালের ইনকাম ট্যাক্স অ্যাক্টের ৮৭ এ ধারায় করদাতা ১২,৫০০ টাকা পর্যন্ত করছাড় পেতে পারেন। মনে রাখতে হবে, পুরনো কর ব্যবস্থায় মৌলিক কর ছাড়ের সীমা তাঁদের বয়স এবং আবাসিক অবস্থার উপর নির্ভর করে। যাই হোক, এক অর্থবর্ষে মৌলিক ছাড়ের সীমা ২.৫ লক্ষ টাকা।
advertisement
তবে আয়কর রিটার্নে সময় ভুল হয়ে থাকলে তা শোধরানোর জন্য করদাতাদের বাড়তি সময় দেওয়া হবে এই অর্থবর্ষ থেকে। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষ থেকে করদাতারা সংশ্লিষ্ট অ্যাসেসমেন্ট ইয়ারের দু'বছরের মধ্যে সংশোধিত রিটার্ন ফাইল করতে পারবেন। এতে মামলার জটিলতা কমবে।
আয়কর বিভাগের ওয়েবসাইট অনুযায়ী দুটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জানতে হবে –
১) সারচার্জের হার এবং স্বাস্থ্য এবং শিক্ষা উপকর, পুরনো এবং নতুন, দুই কর ব্যবস্থাতেই এক।
২) ইউ/এস ৮৭-এর অধীনে ছাড়: যে ব্যক্তির মোট বার্ষিক আয় ৫ লাখ টাকার বেশি নয়, সেও আয়করের ১০০ শতাংশ বা ১২,৫০০ টাকা পর্যন্ত করছাড়ের যোগ্য, যা তুলনামূলকভাবে কম। এই ছাড় উভয় কর ব্যবস্থাতেই মিলবে।
গত বছর অর্থাৎ ২০২১-২২-এর বাজেটে নির্মলা ঘোষণা করেছিলেন, যাদের আয়ের উৎস কেবল পেনশন বা সুদ, ৭৫ বছরের বেশি বয়সী এমন প্রবীণ নাগরিকদের আয়কর রিটার্ন দাখিল থেকে ছাড় দেওয়া হবে। তিনি বলেছিলেন, ‘স্বাধীনতার ৭৫ তম বর্ষে ৭৫ বছর বা তার বেশি বয়সী প্রবীণ নাগরিকদের করের বোঝা কমাবে সরকার’।
আরও পড়ুন: প্রত্যেক মাসে ২৫০০ টাকা আয় করার এটাই সেরা অপশন
উল্লেখ্য, ৭৫ বছরের বেশি বয়সী প্রবীণ নাগরিকদেরও কর দিতে হয়। এখন শর্তসাপেক্ষে আয়কর রিটার্ন দাখিল করা থেকে তাঁদের ছাড় দেওয়া হতে পারে। সেটা কীভাবে? যে ব্যাঙ্ক থেকে সুদ মেলে সেই ব্যাঙ্কেই যদি পেনশনের টাকা জমা রাখা হয়, তাহলেই এই ছাড় দেওয়া হবে।