নতুন কর ব্যবস্থার নতুন ট্যাক্স স্ল্যাব নতুন কর কাঠামোয় কিছু জিনিস মাথায় রাখতে হবে। অর্থমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী, যাঁদের বার্ষিক আয় ৭ লাখ টাকা, তাঁদের এক পয়সাও কর দিতে হবে না। কিন্তু কর ৭ লাখ থেকে যদি ১ টাকাও বেড়ে যায় তাহলে আয়কর প্রযোজ্য।
আরও পড়ুন: বাজেটে নার্সিং কলেজ তৈরি থেকে ওষুধ প্রস্তুতের গবেষণায় জোর!
advertisement
· আয় বার্ষিক ৭ লাখ টাকার উপরে হলে ৩ থেকে ৬ লাখের স্ল্যাবে বার্ষিক ৫ শতাংশ কর দিতে হবে।
· একইভাবে ৬ থেকে ৯ লক্ষ টাকার স্ল্যাবে বার্ষিক ১০ শতাংশ হারে আয়কর প্রযোজ্য।
· ৯ লাখ থেকে ১২ লাখ টাকার স্ল্যাবে বার্ষিক ১৫ শতাংশ হারে আয়কর দিতে হবে।
· ১২ লক্ষ থেকে ১৫ লক্ষ টাকার স্ল্যাবে বার্ষিক ২০ শতাংশ হারে আয়কর প্রযোজ্য হবে।
· আর ১৫ লাখ টাকার উপরে আয়ের ক্ষেত্রে বার্ষিক ৩০ শতাংশ হারে আয়কর দিতে হবে।
পুরনো ট্যাক্স স্ল্যাব পুরনো আয়কর কাঠামোয় অর্থাৎ এখন যে কর ব্যবস্থা চলছে তাতে ২.৫ লক্ষ টাকা আয়ের উপর কোনও কর দিতে হয় না।
· তবে ২.৫০ লাখ থেকে ৫ লাখ পর্যন্ত আয়ে ৫ শতাংশ হারে কর দিতে হয়। অবশ্য ধারা ৮৭এ-র অধীনে করছাড় পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল লাইব্রেরি থেকে একলব্য বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ, শিক্ষায় একাধিক ঘোষণা
· ৫ লাখ থেকে ৭.৫০ লাখ টাকা আয়ের উপর ১০ শতাংশ হারে কর প্রযোজ্য হয়।
· ৭.৫০ লাখ থেকে ১০ লাখের মধ্যে আয়ে ১৫ শতাংশ হারে কর লাগু হয়।
· ১০ লাখ টাকা থেকে আয় ১২.৫০ লাখের মধ্যে থাকলে আয়কর দিতে হয় ২০ শতাংশ হারে।
· ১২.৫ লাখ থেকে ১৫ লাখ এবং ১৫ লাখ টাকার উপর আয় হলে যথাক্রমে ২৫ শতাংশ এবং ৩০ শতাংশ হারে কর দিতে হয়।
আয়করের পুরনো ব্যবস্থায় করের হার কম হলেও গৃহঋণের মূল বা সুদ বা সঞ্চয়ের ওপর কর অব্যাহতি ছাড়া স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশনের সুবিধা না পাওয়ায় এই ব্যবস্থা করদাতাদের খুব একটা আকর্ষণীয় মনে হয়নি। ২০২১-২২ আর্থিক বছরে ৫ শতাংশেরও কম করদাতা এই আয়কর ব্যবস্থার অধীনে আয়কর রিটার্ন দাখিল করেন। একারণেই পুরনো আয়কর ব্যবস্থাকে আকর্ষণীয় করে তুলতে ট্যাক্স স্ল্যাবে বড় ধরনের পরিবর্তন এনেছেন অর্থমন্ত্রী।