অধিকাংশ ইক্যুইটি ফান্ডে ২০২৩ সালের রিটার্ন ৫০ শতাংশের বেশি ছিল। ভবিষ্যতেই একই হারে রিটার্ন মিলবে, তা বলা যায় না। তবে গত কয়েক বছর অনেক মিউচুয়াল ফান্ড ৪০ শতাংশের বেশি রিটার্ন দিয়েছে।
SIP-এর মাধ্যমে বাজারের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করা হয়, তাই বাজারের সময় নির্ধারণের প্রয়োজন হয় না। তবে, সর্বোচ্চ সুবিধা পেতে বাজারের পরিস্থিতি সম্পর্কে সচেতন থাকা উচিত এবং সঠিক সময়ে বিনিয়োগ করা উচিত।
advertisement
আরও পড়ুন: অল্প সময়ের মধ্যে কোটিপতি হতে চান? দেখে নিন কী কী করতে হবে
রিটার্নের দিক থেকে কোনটি ভাল
মাসিক কিস্তি হোক বা এককালীন – এই দুটি বিনিয়োগ কৌশলের সুবিধা এবং অসুবিধা উভয়ই রয়েছে। তাদের জন্য কোনটি উপযুক্ত তা বিনিয়োগকারীদের উপর নির্ভর করে। SIP হল একজন বেতনভোগী ব্যক্তির জন্য নিয়মিত বিরতিতে বিনিয়োগ করার জন্য একটি সেরা বিকল্প, যেখানে, Lump Sum অর্থাৎ এককালীন বিনিয়োগকারীদের মোট অঙ্কের উপর দীর্ঘ সময় ধরে চক্রবৃদ্ধি সুদ অর্জন করতে দেয়।
উদাহরণ:
১৫ বছর ধরে মাসে ১০,০০০ টাকা SIP এবং ৩ লাখ টাকার এককালীন বিনিয়োগের হিসেব এখানে দেওয়া হল, ১২% বার্ষিক রিটার্ন ধরে নিয়ে:
SIP গণনা (১৫ বছরের জন্য প্রতি মাসে ১০,০০০ টাকা)
মাসিক SIP: ১০,০০০ টাকা
মেয়াদ: ১৫ বছর (১৮০ মাস)
প্রত্যাশিত রিটার্ন: ১২% বার্ষিক (১% প্রতি মাসে)
মোট বিনিয়োগ: ১০,০০০ টাকা × ১৮০ = ১৮,০০,০০০ টাকা
SIP-এর ভবিষ্যৎ মূল্য: ৫০,৪৫,৭৬০ টাকা
মোট অর্জিত রিটার্ন:
৫০,৪৫,৭৬০ – ১৮,০০,০০০ = ৩২,৪৫,৭৬০ টাকা
এককালীন বিনিয়োগ: টাকা ৩,০০,০০০
প্রত্যাশিত রিটার্ন: বার্ষিক ১২%
মেয়াদ: ১৫ বছর
এককালীন ভবিষ্যৎ মূল্য: ১৬,৪২,০৭০ টাকা
মোট অর্জিত রিটার্ন: ১৬,৪২,০৭০ – ৩,০০,০০০ = ১৩,৪২,০৭০ টাকা
আরও পড়ুন: মিলেনিয়াল এবং Gen Z প্রজন্মের জন্য রইল ৮ গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক টিপস
এটি কেবল একটি উদাহরণ, ১২% বার্ষিক রিটার্ন বাজারের ওঠানামার উপরে নির্ভর করে বেশি হতে পারে। বাস্তবে রিটার্ন বিভিন্ন কারণের উপর নির্ভর করে, বিশেষ করে গড় বার্ষিক রিটার্নের উপর নির্ভর করে কর্পাস ভিন্ন হতে পারে।
