আরও পড়ুন: এই পড়ুয়াদের তৈরি মডেল দেখলে অবাক হবেন আপনিও
বীরভূম জেলা তৃণমূলের অভ্যন্তরে কান পাতলে শোনা যায়, তিহার জেলে বন্দি অনুব্রত মণ্ডলের জন্যই পুরপ্রধান হতে পেরেছিলেন প্রণব কর। কিন্তু কেষ্ট মণ্ডল গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হতেই তিনি দলের অভ্যন্তরে কোণঠাসা হয়ে পড়তে শুরু করেন। তারই ফলশ্রুতি সিউড়ির ১৩ জন কাউন্সিলরের বিদ্রোহ। প্রণব করকে সরানোর দাবিতে বিদ্রোহী কাউন্সিলরদের চিঠি পেয়ে তৃণমূল সেকশনে নেতৃত্ব বিষয়টি স্থানীয় সাংসদ শতাব্দী রায় ও সিউড়ির বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরীকে দেখার নির্দেশ দিয়েছিলে। সেইমতো সব কাউন্সিলরদের নিয়ে বৈঠকও হয়। কিন্তু তাতে চূড়ান্ত কোনও সমাধান সূত্র বেরিয়ে আসেনি বলে খবর।
advertisement
সোমবার সকালে হঠাৎ প্রণব করের ইস্তফায় হতভম্ব হয়ে গিয়েছেন তাঁর বিপক্ষ শিবিরের তৃণমূল নেতারাও। বিশেষ করে তিনি কাউন্সিলর পদ’ও ছেড়ে দেওয়ায় জল্পনা তুঙ্গে উঠেছে। বিরোধীদের কটাক্ষ, অনুব্রত মণ্ডল জেলে যেতেই জেলায় তাঁর ঘনিষ্ঠদের ছেঁটে ফেলার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে তৃণমূলে। এই ঘটনা তারই নিদর্শন। যদিও দলে কোণঠাসা হয়ে পড়া বা অন্য কোনও সমীকরণের কথা মানতে চাননি সদ্য পদত্যাগী প্রণববাবু। তিনি বলেন, ‘আমাকে অনুব্রত মণ্ডল এই পদে বসিয়েছিল৷ কিন্তু শারীক ও পারিবারিক কারণে ইস্তফা দিলাম।
শুভদীপ পাল