২০১৮ সালে শুরু হয় রেল উড়ালপথের কাজ। কিন্তু প্রায় পাঁচবছর হতে চলল, উড়ালপথের কাজ অর্ধসমাপ্ত হয়েই পড়ে আছে। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, যে ঠিকাদার সংস্থা ওই উড়ালপথ তৈরির দায়িত্বে ছিল সেই সংস্থা অত্যন্ত ধীর গতিতে কাজ করছিল। সেই নিয়ে রেলের কাছে বারবার রাজনৈতিক ও নাগরিক সমাজ থেকে অভিযোগ আসছিল। তাই ওই সংস্থাকে প্রাথমিকভাবে সচেতন করা হয় এবং দ্রুত কাজ শেষ করার জন্য বলা হয়। কিন্তু তারপরেও একই অভিযোগ আসতে থাকায় রেলের পক্ষ থেকে ওই সংস্থাকে টার্মিনেট করে দেওয়া হয়। এরপরেই ওই ঠিকাদার সংস্থা আদালতের দ্বারস্থ হয়। বর্তমানে মামলাটি বিচারাধীন অবস্থায় রয়েছে। ফলে উড়ালপথের কাজও থমকে রয়েছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সিউড়ির নাগরিকবৃন্দ, ব্যবসায়ী সমিতির তরফ থেকে বহু আবেদনের পরেও কোনও কাজ হয়নি।
advertisement
এমনকি বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায় এই বিষয়টি নিয়ে সংসদেও সোচ্চার হন, কিন্তু তার পরেও পরিস্থিতির বদল ঘটেনি। কয়েক মাস আগে সিউড়ি রেলস্টেশন পরিদর্শনে এসে পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার অরুণ আরোরা বলেন, "হাটজনবাজারে রেল উড়ালপথ তৈরি হওয়া দরকার। কাজ শুরুও হয়েছিল। কিন্তু ঠিকাদার সংস্থা ধীর গতিতে কাজ করায় আমরা সংস্থাকে নোটিশ দিয়েছিলাম। কিন্তু কাজ হয় নি। আমরা ওদের টার্মিনেট করে দিয়েছি। এরপরেই ওই ঠিকাদার সংস্থা হাইকোর্টে চলে যায়। হাইকোর্ট বর্তমানে এই বিষয়ে স্থগিতাদেশ দিয়েছে। " তাঁর সংযোজন, \"আমরা হাইকোর্টে আবেদন করেছি যে এটা জনস্বার্থের কাজ, তাই দ্রুত মামলার ফয়সালা করে কোনও নির্দেশ দেওয়া হোক।"