বিশ্বভারতীতে ফের অশান্তির পরিবেশ তৈরি হওয়া প্রসঙ্গে এদিন মন্ত্রী ফিরহাদ বলেন, "আগে বামেদের ত্রাস ছিল, এখন দেখে দেখে এমন উপাচার্য পাঠানো হচ্ছে যাঁর আদর্শ আরএসএস৷" ফিরহাদ হাকিমের অভিযোগ, বেছে বেছে বিশ্বভারতীতে এমন উপাচার্যই পাঠানো হচ্ছে, যিনি এখানকার পরিবেশ নষ্ট করছেন। কোনও শিক্ষাক্ষেত্রেই এমন পরিবেশ হওয়া বাঞ্ছনীয় নয় বলে মত কলকাতার মেয়রের।
advertisement
আরও পড়ুন: অরণ্যের অধিকার 'ওদেরই', আদিবাসী উন্নয়নে বিধানসভায় বিরাট ঘোষণা মমতার!
বুধবার বেশ কিছু দাবিদাওয়া নিয়ে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর কাছে গিয়েছিলেন ছাত্রছাত্রীদের একাংশ। তাঁদের অভিযোগ, হাইকোর্টের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের ভর্তি নিচ্ছে না বিশ্বভারতী। এমনকি, আন্দোলনকারী ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষাতেও বসতে দেওয়া হচ্ছে না। এই সমস্ত দাবিদাওয়া নিয়েই উপাচার্যের কাছে গিয়েছিলেন পড়ুয়ারা। কিন্তু, আলোচনায় রাজি হওয়া তো দূরের কথা, অভিযোগ, পড়ুয়াদের বাড়ির দোরগোড়া থেকে হঠাতে গুলি চালানোর নির্দেশ দেন বিদ্যুৎবাবু।
এরপরেই, উত্তেজনা ছড়ায় ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে উপাচার্যের ঘরের দরজা ভেঙে ঘেরাও বিক্ষোভে বসে পড়েন আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা। প্রায় ১০ ঘণ্টা ঘেরাও বিক্ষোভ চলার পরে অবশেষে ওঠে অবস্থান। কিন্তু বিশ্বভারতীর পরিবেশ এখনও থমথমে।
সম্প্রতি মেলার মাঠে পৌষমেলা বসতে না দেওয়ার অনুমতি থেকে শুরু বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরের বিভিন্ন জায়গায় পাঁচিল তোলার নির্দেশ দেওয়ার মতো একাধিক বিতর্কে জড়িয়েছেন বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। এদিন এ প্রসঙ্গে ফিরহাদ হাকিম বলেন, "আমরা আগে পৌষমেলা করতাম। সেই বিশ্বভারতীর এই অবস্থা দেখে আজ কষ্ট হয়। কবিগুরুর আত্মা ওখানেই আছে। তিনিও কষ্ট পাচ্ছেন, সেটা ভেবেই খারাপ লাগে। এই উপাচার্য দিল্লির লোক।"