আরও পড়ুন: বাংলা দিবসের আনন্দে চলল দেদার মিষ্টি মুখ, সঙ্গে কবিগুরুর গান
দারোকা নদীর উৎপত্তি পাশের রাজ্য ঝাড়খণ্ডের সাঁওতাল পরগনায়। সেখান থেকে মহম্মদবাজারের কাছে পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করে বীরভূমের দেউচা এবং পরে ময়ূরেশ্বর ও রামপুরহাট থানা এলাকার মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। শেষে মুর্শিদাবাদে ঢুকে ভাগীরথী নদীতে মিলিত হয়েছে। দুটি শক্তি মন্দির এই নদীর তীরে অবস্থিত, সেগুলি হল- দ্বারবাসিনী ও তারাপীঠ।
advertisement
পুরান মতে কথিত আছে, এই দ্বারকা নদীতে স্নান করে মা তারার পুজো দিলে ভক্তদের সকল মনস্কামনা পূর্ণ হয়। যদি গত কয়েক বছর ধরে দ্বারকা নদীর তীরে একাধিক হোটেল গড়ে উঠেছে। তারাপীঠে ভক্তদের ভিড় যত বেড়েছে ততই হোটেল তৈরির প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ওই হোটেলগুলোর যাবতীয় নোংরা আবর্জনা দ্বারকা নদীতে ফেলা হতো। ফলে ক্রমশই সঙ্কট বাড়ছিল দ্বারকা নদীর। বিষয়টি নিয়ে নড়ে চড়ে বসে প্রশাসন। বীরভূমের জেলাশাসক বিধান রায় তারাপীঠের হোটেল কর্তৃপক্ষদের কড়া নির্দেশ দেন, কৌশিকী অমাবস্যার আগেই দ্বারকা নদী পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে ফেলতে হবে। উল্লেখ্য কৌশিকী অমাবশ্যায় তারাপীঠে ব্যাপক ভিড় হয়। জেলাশাসকের এই কড়া নির্দেশের পরই নড়েচড়ে বসে হোটেলগুলো। এর ফলে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হয়ে উঠেছে দ্বারকা নদী। ফলে আগামী কৌশিকী অমাবস্যায় ভক্তরা নির্বিঘ্নে দ্বারকা নদীতে স্নান করে তারাপীঠ মন্দিরে পুজো দিতে পারবেন
সৌভিক রায়