এ এলাকায় কেন এমন পুরানো নিদর্শন ছড়িয়ে রয়েছে, যথার্থ কারণ জানা যায়নি। তবে এখনও মাটি খুঁড়লে উঠে আসে এই মূর্তির ভগ্নাবশেষ। গুপ্ত সাম্রাজ্যের রাজধানী ছিল পাটলিপুত্র বা পাটনা। বীরভূম গুপ্ত যুগের প্রাধান্য পাবে তাতে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই। মুঘল যুগেও বীরভূম একটি অন্যতম ব্যবসায়ী কেন্দ্র হিসেবে প্রাধান্য পেত। এর পাশাপাশি ব্রিটিশ আমলেও বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা হত এই বীরভূম জুড়ে।
advertisement
তাছাড়া বীরভূম এবং তার সংলগ্ন অঞ্চল থেকে পার্শ্ববর্তী পূর্ব ভারতে সৈন্য পরিচালনার সুবিধা ছিল। হয়ত সেই কারণে বীরভূমের বারাগ্রামে প্রাকৃতিক নিদর্শন খুঁজে পাওয়া যায়। গোটা বিষয়টা নিয়ে প্রত্নবিভাগ উদাসীন। চুরি গিয়েছে একাধিক মূর্তি। তবুও এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা এই সমস্ত মূর্তি তুলে রেখেছেন ধর্মীয় স্থানে। স্থানীয় পঞ্চায়েতের উদ্যোগে পঞ্চায়েত অফিসে একটি ঘর বানিয়ে এই সমস্ত মূর্তি সংরক্ষণ এর ব্যবস্থা করা গিয়েছে।
আরও পড়ুন : দামী ওষুধ-সিরাপ লাগবেই না! মাত্র ৭ দিনেই টনসিলের ব্যথা-গলা ফোলা কমাবে এই পাতা ফোটানো জল!
কিন্তু এমন ভাবে এই অমূল্য সম্পদ সংরক্ষণ করা সম্ভব নয়। সঠিক পরিকল্পনা থাকলে এই গ্রাম আগামিদিনে পশ্চিমবঙ্গের ভ্রমণ মানচিত্রে একটি জায়গা দখল করে নিতে পারে। গুপ্ত এবং মোঘল যুগকে জানতে এই নিদর্শন একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে ইতিহাসপ্রেমীদের কাছে। এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারাও চাইছেন এই মূর্তি গুলি সংরক্ষণ করা হোক।