সিবিআই হেফাজতে লালন শেখের মৃত্যুর পর তার স্ত্রী এবং পরিবারের সদস্যরা সিবিআই আধিকারিকদের উপযুক্ত শাস্তির দাবি করেছেন। দফায় দফায় এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়েছে রামপুরহাট। এরই মধ্যে রবিবার মৃত লালন শেখের বাড়ির সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে যান বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ শতাব্দী রায়। সেখানে পৌঁছে তিনি লালন শেখের মৃত্যুর জন্য সিবিআই আধিকারিকদের দুষলেন।
advertisement
আরও পড়ুন: 'কোনও বদলি নয়...' প্রাথমিকে শিক্ষক বদলি নিয়ে বড় 'শর্ত' বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের
শতাব্দী রায় এদিন বলেন, "লালনের পরিবারের সদস্যরা যা বলছেন তাতে সিবিআইয়ের পুরো দোষ। লালন শেখের পরিবারের সবাইকে সিবিআই আধিকারিকরা বলেছিলেন শেষবার দেখে নেওয়ার জন্য। এছাড়াও লালন শেখের স্ত্রীকে মারধর করা হয়। লালন শেখের মা বোন স্ত্রী সবার সঙ্গে যদি কথা বলা যায় তাহলে বোঝা যাবে ওরা কী কী বলেছে।" এর পাশাপাশি তিনি জানান এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বীরভূম জেলা পুলিশ সুপারের সঙ্গে কথা বলবেন।
প্রসঙ্গত, বগটুই গ্রামের বাসিন্দা বরশাল গ্রামের উপপ্রধান ভাদু শেখ খুন হওয়ার পর বগটুই গ্রামের ১০ জনকে পুড়িয়ে মারা করা হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনার মূল অভিযুক্ত ছিলেন লালন শেখ। লালন শেখ ঘটনার মূল অভিযুক্ত থাকার পাশাপাশি ভাদু শেখ খুনের অন্যতম সাক্ষীও ছিলেন। এমন একজনের সিবিআই হেফাজতে মৃত্যুর পর নানা প্রশ্ন ওঠার পাশাপাশি তা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। সিবিআই হেফাজতে লালন শেখের মৃত্যুর ঘটনায় ইতিমধ্যেই তদন্ত চালাচ্ছে সিআইডি।
মাধব দাস