পরিকাঠামোর দিক থেকে এই হাসপাতালের অবস্থা এখনও বেহাল। হাসপাতালে বিল্ডিং রক্ষণাবেক্ষণ না করার ফলে ভেঙ্গে ভেঙ্গে পড়ছে। এছাড়াও দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালের এক্স-রে মেশিন খারাপ হয়ে পড়ে রয়েছে। এর ফলে পরিষেবা পাচ্ছেন না হাসপাতলে আগত রোগীরা। এর পাশাপাশি হাসপাতালের যে চক্ষু বিভাগ রয়েছে সেখানেও দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসক না থাকার কারণে বহু রোগীদের হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দারা এই সকল অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বিএমওএইচকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখানোর পাশাপাশি স্মারকলিপি প্রদান করেন।
advertisement
দুবরাজপুর ব্লকের অন্তর্গত এই গ্রামীণ হাসপাতালের উপর নির্ভরশীল কয়েক লক্ষ মানুষ।
দুবরাজপুর শহর এবং পার্শ্ববর্তী এলাকার বাসিন্দারা ছাড়াও খয়রাশোল ব্লকের বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দারা এই হাসপাতালের উপর সারাবছর ভরসা করে থাকেন। এমনকি খয়রাশোল লাগোয়া ঝাড়খণ্ডের বেশকিছু গ্রাম থেকেও এখানে চিকিৎসা করাতে আসতে দেখা যায়। এমত অবস্থায় পরিকাঠামোর অভাব রোগীদের স্থানান্তরিত করা হয় সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। স্বাভাবিকভাবেই ভোগান্তি বাড়ছে রোগীদের।
পরিষেবা এবং পরিকাঠামোর দিক দিয়ে হাসপাতালের বেহাল অবস্থার পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, হাসপাতাল চত্বর ঠিক ভাবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয় না। ফলে চিকিৎসা করাতে আসা রোগী এবং রোগীর আত্মীয় স্বজনদের অবস্থা সংকটজনক হয়ে পড়ছে। যদিও এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে দুবরাজপুর গ্রামীণ হাসপাতালের বিএমওএইচ সোমনাথ অধিকারী জানিয়েছেন, উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে আগেই এই সকল বিষয় তুলে ধরা হয়েছে। আবারও তুলে ধরা হবে।
মাধব দাস