বক্রেশ্বর ধামে এসে একসঙ্গে একাধিক তীর্থের পূণ্য লাভের সুযোগ মিলে। কারণ এখানে দেবী সতীর মন্দির ছাড়াও রয়েছে বাবার পুজো দেওয়ার সুযোগ। পাশাপাশি এখানকার সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হল উষ্ণপ্রস্রবণ। যেখানে সারা বছর পাওয়া যায় গরম জল এবং গরম জলে স্নান করার সুযোগ। প্রাকৃতিক এই গরম জলে প্রতিবছর শীতের সময় পর্যটকদের ভিড় জমতে দেখা যায়। এ ছাড়াও অন্যান্য সময়ও গঙ্গা স্নানের পবিত্রতা লাভের জন্য এখানে স্নান করে যান অনেকেই।
advertisement
আরও পড়ুনঃ আবহাওয়ার ব্যাপক পরিবর্তন! কড়া শীতে বৃষ্টিতে ভিজবে বাংলা, রইল সর্বশেষ পূর্বাভাস
এখানে মোট দশটি কুণ্ড রয়েছে। যেগুলি হল পাপহরা গঙ্গা, বৈতরণী গঙ্গা, খরকুণ্ড, ভৈরবকুণ্ড, অগ্নিকুণ্ড, দুধকুণ্ড, সূর্যকুণ্ড, শ্বেতগঙ্গা, ব্রহ্মাকুণ্ড, অমৃতকুণ্ড। তবে প্রতিটি কুণ্ডের জলের তাপমাত্রা আলাদা। এই সকল কুণ্ডের জলে সোডিয়াম, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, সিলিকেট, ক্লোরাইড, বাইকার্বোনেট ও সালফেট পাওয়া যায়। যা ঔষধি গুণসম্পন্ন।
এ ছাড়াও এখানকার এই উষ্ণ প্রস্রবণের জলে রয়েছে রেডিওঅ্যাকটিভ উপাদান। দূর-দূরান্ত থেকে প্রতি দিন এখানে এই প্রাকৃতিক গরম জলে স্নান করার জন্য আসতে দেখা গেলেও শীতের মরশুমে ভিড় অনেক বেশি থাকে। আগত পর্যটকদের কথা মাথায় রেখে বীরভূম জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে বিভিন্ন ধরনের সুবিধা দেওয়া হয়। বক্রেশ্বর মন্দিরের যে সকল সেবায়েতরা রয়েছেন তারাও শীতের মরশুমেই তাকিয়ে থাকেন পর্যটকদের আগমনের জন্য। দূর-দূরান্ত থেকে আসা পর্যটকরাও প্রাকৃতিক এই গরম জলে স্নান আলাদাভাবেই উপভোগ করে থাকেন।
Madhab Das