কিন্তু এবারের বিশ্বভারতীর বসন্ত উৎসব অকাল বসন্ত উৎসব নামেই অভিহিত হলপড়ুয়াদের কাছে। সংক্রমণ কম থাকায় প্রথম থেকে আশা করা হচ্ছিল বিশ্বভারতীতে সর্বসাধারণকে নিয়েই পালন করা হবে বসন্ত উৎসব। কিন্তু বিশ্বভারতীতে ছাত্র আন্দোলনেবিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয়, বিশ্বভারতীর অচলাবস্থার কারণে এবার বসন্ত উৎসব আয়োজন করা সম্ভব হচ্ছে না দোলের দিন। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে উৎসব পালন করা হবে। ধীরে ধীরে বিশ্বভারতীর ছাত্র আন্দোলন স্তিমিত হয় অর্থাৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকায় বুধবার বসন্ত উৎসব আয়োজিত হল বিশ্বভারতীতে। এই বসন্ত উৎসব আয়োজিত হল ঠিক বসন্ত শেষ হওয়ার একদিন আগে। সে কারণেই পড়ুয়ারা এই বসন্ত উৎসবকে অকাল বসন্ত উৎসব বলে দাবি করেছেন।এবারের বসন্ত উৎসবে আগের মতো আর সাধারণ মানুষদের প্রবেশের অনুমতি ছিল না। কেবলমাত্র বিশ্বভারতী কেন্দ্রিক। তবেএবারবসন্ত উৎসবে একাল -সেকাল এর ফারাক দেখা গেলেও,কিছু রীতি আগের মতই পালন করা হয়৷রীতি অনুযায়ী বুধবার ভোর পাঁচটার সময় গৌড়প্রাঙ্গণে হয় বৈতালিক। এরপর সকাল সাতটায় শুরু হয় শোভাযাত্রা। ওরে গৃহবাসী খোল দ্বার খোল গানের মধ্য দিয়েই এদিনের এই শোভাযাত্রা আয়োজিত হয়।অন্যদিকে এদিন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী মঞ্চে বক্তব্য রাখার সময় দাবি করেন, বিশ্বভারতীর বসন্ত উৎসব বসন্ত বন্দনা হিসাবেই শুরু হয়েছিল। পরে তা হয়ে যায় বসন্ত উৎসব এবং ২০১৯ সালে আমরা দেখি বসন্ত তাণ্ডব। অর্থাৎ আজকের এই বসন্ত বন্দনা হলো ঐতিহ্য ধরে রাখার উৎসব।
advertisement