গত তিন মাস ধরেই এমন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন বলে দাবি করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।এই বিষয়ে তারা একাধিকবার রেল কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন বলে দাবি করেছেন। কিন্তু তারপরেও কোন সমস্যার সমাধান হয়নি। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, এই আন্ডারপাসের উপর নির্ভর করে অন্ততপক্ষে পাঁচটি পঞ্চায়েতের বাসিন্দাদের যাতায়াত করতে হয়। আন্ডারপাস জলে ডুবে গেলেই ঘুরপথে যাতায়াত করতে হয় তাদের।
advertisement
এই আন্ডারপাসে জল জমে যাওয়ার ফলে সবচেয়ে বেশি যে সমস্ত গ্রামের বাসিন্দারা সমস্যার সম্মুখীন হন সেই গ্রামগুলি হল বনকাঠি, দুর্লভপুর, খোসবাসপুর, পারুলিয়া, হাজরাপুর, হোদলা, কালোসোনা, কচুজোড় ইত্যাদি। হাজার হাজার মানুষ এই আন্ডারপাস দিয়ে হাসপাতাল থেকে শুরু করে বিভিন্ন জায়গায় যাতায়াত করে থাকেন। এছাড়াও আন্ডারপাস জলে ডুবে থাকার ফলে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় স্কুল পড়ুয়াদের।
আরও পড়ুনঃ মানবিক উদ্যোগ, পুজোর আগে ভবঘুরেদের মুখে হাসি ফোটাচ্ছেন যুবক-যুবতীরা
এর পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দাদের তরফ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে, আন্ডারপাস এমন জায়গায় করা হয়েছে যেখানে রাতের বেলায় যাতায়াত করার ক্ষেত্রে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। চুরি ছিনতাইয়ের আশঙ্কা থেকে যায়। এই সকল ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় বাসিন্দারা একাধিকবার বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। তবে বৃহস্পতিবার তারা রেল অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান।
আরও পড়ুনঃ কচুজোড়ে রেল অবরোধের জেরে অস্বাভাবিক ভোগান্তি যাত্রীদের
প্রায় পাঁচ ঘন্টা রেল অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখানোর পর রেলের আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদের আশ্বাস দেন, আপাতত পাম্প লাগিয়ে জল বের করে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে এবং ১০ দিনের মধ্যে এর স্থায়ী সমাধান করার বন্দোবস্ত করা হবে। রেলের আশ্বাসে স্থানীয় বাসিন্দারা এই আন্ডারপাসের স্থায়ী সমাধানের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন।
Madhab Das