সেই প্রকল্পের মাধ্যমেই বছরের বিভিন্ন সময় হারিয়ে যাওয়া অথবা চুরি যাওয়া মোবাইল ফোনগুলি উদ্ধার করে আসল মালিকদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। অপ্রত্যাশিতভাবে এই সকল মোবাইল ফোন ফিরে পেয়ে স্বাভাবিকভাবেই হাসি ফিরতে দেখা যায় প্রাপকদের মুখে। বীরভূম জেলা পুলিশ সুপার নগেন্দ্র ত্রিপাঠী জানান, "আমাদের যে ই-প্রাপ্তি নামে প্রকল্প রয়েছে তার মাধ্যমে হারিয়ে যাওয়া অথবা চুরি হয়ে যাওয়া মোবাইলগুলি উদ্ধার করে আসল মালিকদের হাতে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। গত তিন মাস চার মাস ধরে আমরা এই ধরনের মোবাইল ফোন উদ্ধার করে আজ আসল মালিকদের হাতে তুলে দিলাম। মোবাইল ফোন এখন মানুষের স্বাচ্ছন্দ জীবনের সঙ্গী হয়ে দাঁড়িয়েছে। দুর্গাপুজোর আগে ছোট্ট উপহারের মতো আমরা এই সকল ফোনগুলি আসল মালিকদের হাতে তুলে দিলাম।"
advertisement
আরও পড়ুনঃ কন্যাশ্রী ক্লাব, কী না করতে পারে! দেখুন বীরভূমের চিত্র
কীর্ণাহার থেকে আসা পিয়ালী ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, মে মাসে তার মোবাইল ফোনটি এক টোটো চালক চুরি করে নিয়েছিলেন যখন তিনি ভদ্রকালী মন্দিরে পুজো দিতে গিয়েছিলেন। তবে তিন মাস আগে হারিয়ে যাওয়া সেই মোবাইল ফোন তিনি আজ ফিরে পেয়ে খুবই খুশি হয়েছেন।
আরও পড়ুনঃ মানবিক উদ্যোগ, পুজোর আগে ভবঘুরেদের মুখে হাসি ফোটাচ্ছেন যুবক-যুবতীরা
একইভাবে রামপুরহাট থেকে আসা চন্দন কুমার বর্মা তার মায়ের ব্যাগ থেকে চুরি করে নেওয়া মোবাইল ফোন নিতে এসেছিলেন। ভিড়ের মাঝে এক বছর আগে তার মায়ের ব্যাগ থেকে এই মোবাইল ফোন চুরি গিয়েছিল বলে জানিয়েছেন তিনি। এক বছর পর এইভাবে মোবাইল ফোন ফিরে পাবেন তা তিনি এবং তার মা কোনদিন বিশ্বাস করতে পারেননি।
Madhab Das