FPO অর্থাৎ ফার্মার্স প্রোডিউসারস অর্গানাইজেশন। এটির জন্য আবেদন করতে হলে নূন্যতম ১০ জন ক্ষুদ্র ও মাঝারি কৃষককে একত্রিত হয়ে একটি গোষ্ঠী তৈরি করতে হবে। জমা দিতে হবে অধার কার্ড, চাষের জমির কাগজ, ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট, প্যান কার্ড, খুবই সাম্প্রতিক কোন সরকারি বিল এবং পাসপোর্ট সাইজ ছবি। সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াই অনলাইনে হবে। বিস্তারিত তথ্য পেতে www.mca.gov.in ওয়েবসাইটে যোগাযোগ করুন।
advertisement
কী সুবিধে আছে FPO-তে?
ক্ষুদ্র কৃষক বেশিরভাগ সময়ই উৎপাদন ও বিপণনের ক্ষেত্রে আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। কিন্তু FPO একটি বৃহৎ সংস্থা হওয়ার কারণে কৃষকরা একত্রিত হয়ে চাষের সামগ্রী, সার , বীজ ইত্যাদি ক্রয় করতে পারবে। এতে খরচ হবে কম। আবার চাষের পর ফসল বিক্রির সময় সঠিক তথ্যের অভাবে ছোট চাষিরা নুন্যতম বিক্রয়মূল্য পাওয়া থেকে বঞ্চিত হন। যেকোনও FPO-এর সদস্য হলে সেই সমস্যার সন্মুখীন হতে হবে না এবং উৎপাদিত ফসল বা পণ্য বাইরের রাজ্য তথা বাইরের দেশেও বিক্রি করতে পারবেন চাষি। যার ফলে মুনাফার পরিমাণ বাড়বে।
আরও পড়ুন: ট্রমা কেয়ার আছে, কিন্তু সিটি স্ক্যান-এক্সরে হয় না! এটা এক মেডিকেল কলেজের হাল
সম্প্রতি বাঁকুড়া জেলাতেও FPO যোজনা পুরোদমে কাজ করছে। যেমন ছাতনা। বর্তমানে সেখানে ৩১ টি FPO আছে। যাদের বেশিরভাগেরই সদস্য সংখ্যা ১০০০ এরও বেশি। ২২-২৩ সালে আরও ২৪ টি নতুন FPO খোলার পরিকল্পনা রয়েছে। যার মধ্যে ইতিমধ্যেই ৫ টি FPO নথিভুক্ত হয়েছে। বাঁকুড়া জেলার বেশিরভাগ FPO ধান, সবজি, আলু এবং তৈল বীজের ব্যাবসা করলেও কিছু FPO আছে যারা ভিন্ন ভিন্ন ক্ষেত্র বেছে নিয়েছে। এরা সুগন্ধি ধানের চাষ, খেজুর গুড়, মাছ চাষ, উচ্চ প্রযুক্তির আলু বীজ চাষ ইত্যাদির ব্যবসা করে। কিছু FPO আছে যারা সার, কীটনাশক এবং বীজের লাইসেন্স করে ব্যাবসা করছে। আবার বাঁকুড়া জেলায় FPO কাস্টম হায়ারিং সেন্টারও আছে। এর মাধ্যমে কৃষির জন্য উন্নত প্রযুক্তির যন্ত্রপাতি কৃষকরা ভাড়া করতে পারবেন।
নীলাঞ্জন ব্যানার্জি